উড়োজাহাজ বিক্রির কথা ভাবছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স!

করোনা সংকটে নগদ টাকার ঘাটতি মেটাতে কিছু উড়োজাহাজ নিলামে বিক্রি ও পুনঃইজারা দেওয়ার কথা ভাবছে বিশ্বের প্রথম সারির বিমানসংস্থা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স।

সম্প্রতি ফোর্বস-এর একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, বর্তমান সংকটে বিমানসংস্থাটি তাদের বহরের ব্যাপারে একটু নমনীয় অবস্থানে যাচ্ছে। যেহেতু তাদের বহরে বেশিরভাগ উড়োজাহাজ নিজেদের মালিকানাধীন, সেহেতু সেগুলো বিক্রি ও ইজারায় তারা বেশ কিছু নগদ অর্থের নিশ্চয়তা পাবে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বিমানের বহর রয়েছে ১৩০ টিরও বেশি উড়োজাহাজ। এছাড়াও তাদের আরও ৭০ টিরও বেশি উড়োজাহাজ অধীনস্থ সংস্থা সিলক এয়ার এবং স্কুটে ব্যবহৃত হয়।

Travelion – Mobile

এক্ষেত্রে পুরনো এয়ারক্রাফটগুলোকে তারা নগদ উত্তোলনের কাজে লাগিয়ে নতুনগুলোকে নিজেদের জন্য রেখে দিতে পারে। বোয়িং 787-10 এবং এয়ারবাস A350-900, এবং ভবিষ্যতের বোয়িং 777X এগুলো জায়গা করে নিতে পারে পুরনো মডেলের উড়োজাহাজ এয়ারবাস A330 এবং পুরোনো বোয়িং 777x এর স্থলে।

নতুন এবং পরবর্তী প্রজন্মের এই এয়ারক্রাফটগুলো বেশি জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সকে তাদের সুবিধা অনুযায়ী সেবা দিয়ে থাকে।

ফোর্বস জানিয়েছে, যেহেতু সংস্থাটির বেশিরভাগ উড়োজাহাজই তাদের নিজের মালিকানাধীন, তাই বিক্রি ও ইজারা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনায় আনা গ্রহণযোগ্য।

এশীয় এই বিমানসংস্থাটি তাদের উড়োজাহাজ নিয়ে চুক্তির জন্য কোন লিজিং কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারত্ব করতে পারে। এর ফলে তারা অনেক বেশি প্রয়োজনীয় নগদ টাকা পাবে, যা দীর্ঘ মেয়াদেও তাদের খরচ যোগান দিবে।

বিক্রি-এবং-ইজারা চুক্তির জন্য, সংস্থাটি তার দীর্ঘমেয়াদে তাদের বহর পরিকল্পনা সাজাতে পারে। যেহেতু নতুন অনেক উড়োজাহাজের অর্ডার করা আছে যেগুলো দিয়ে পুরনোগুলোর ঘাটতি প্রয়োজনে মেটানো যাবে।

এয়ারবাস থেকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সর্বশেষ অর্ডার ও ডেলিভারীর গণনায় দেখা গেছে, তারা ৬৭ টি (A350s) উড়োজাহাজের মধ্যে ৪৮ টি ইতিমধ্যে ডেলিভারি করেছে। আর বোয়িং তাদেরকে ৪৪ টির মধ্যে ১৫ টি বোয়িং 787-10s ডেলিভারি করেছে।

এই ছোট এবং নতুন প্রযুক্তির উড়োজাহাজগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ তুলনামূলকভাবে কম প্রয়োজন এবং এগুলোর চালনার খরচও কম। এয়ারবাস ও বোয়িং থেকে এই উড়োজাহাজগুলো এটা বোঝায় যে সংস্থাটি পরবর্তী প্রজন্মের বহর সাজাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সংস্থাটির সহযোগী তারকা অ্যালায়েন্স ক্যারিয়ার ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিওসি এভিয়েশনের সঙ্গে একটি বিক্রয়-ও-ইজারা চুক্তি করেছে।

মার্চে হংকংয়ের ক্যাথে প্যাসিফিক তাদের সাথে ছয়টি 777-300ERs এর জন্য বিক্রয়-ও-ইজারা চুক্তি করে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!