করোনা নিরাময়ে রেমডেসিভির কতটুকু কার্যকরী?

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এখনো কোন নির্দিষ্ট ওষুধ না থাকায় বিভিন্ন দেশে মুলত লক্ষণের উপর ভিত্তি করেই এ ভাইরাসের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে করোনা চিকিৎসায় এমন অনেক ওষুধ নিয়ে ট্রায়াল চলছে কোন ওষুধটি বেশি কার্যকরী ভূমিকা রাখছে তা জানতে।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (FDA) রেমডেসিভির (Remdesivir) করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারের অনুমোদন দেয়ার পরে বিশ্বের অনেক ওষুধ কোম্পানী এই ওষুধ উৎপাদনের চেষ্টা করছে।

রেমডেসিভির ওষুধটি একটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ, যা ইবোলার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার গিলিয়েড সায়েন্স নামের একটি কোম্পানি দ্বারা উৎপাদিত। যদিও ওষুধটি এই রোগের বিরুদ্ধে তেমন ভাল কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারিনি।

Travelion – Mobile

ডিসকোভার নামের একটি ম্যাগাজিন বলছে, ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে একটি ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গেছে, রেমডেসিভির করোনা নিরাময়ের ওষুধ না তবে এটি পরীক্ষামুলক একটি ওষুধ যা করোনা রোগীকে ৩১ ভাগ দ্রুত রিকভার করতে সাহায্য করতে পারে। যা রিকভার সময় ১৫ থেকে ১১ দিনে নিয়ে আসে। এবং মৃত্যু হার কিছুটা কমাতে সাহায্য করেছে।

দ্যা ল্যানসেট নামের একটি জার্নাল বলেছে, চীনের এক গবেষনায় দেখা গেছে, রেমডেসিভার করোনা রোগীদের রিকভার সময় অথবা মৃত্যু হ্রাস কমানো কোনটিতেই ভূমিকা রাখিনি।

এর মাঝেই করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এ ওষুধটি উৎপাদন করেছে বাংলাদেশের এসকেএফ নামের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। এই ইনজেকশনের দাম সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা বলে বলা হচ্ছে।

গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য ৫ অথবা ১০ দিনের ডোজ প্রয়োজন হতে পারে। যাদের অক্সিজেন মাত্রা ৯৪ বা তার নিচে এবং অক্সিজনের প্রয়োজন তাঁদের ক্ষেত্রে এ ওষুধটি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে গবেষণায় এমন তথ্য এসেছে যে, এ ওষুধের পার্শবপ্রতিক্রিয়া হিসেবে লিভারের ক্ষতি করতে পারে।

সবমিলিয়ে এ ওষুধ নিয়ে যেমন অনেক আশাবাদী হবার কিছু নেই অন্যদিকে আশাহত হবারও কিছু নেই। তবে এই ওষুধের সঠিক প্রয়োগ এবং নির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা সহকারে চিকিৎসকদের পরামর্শ মোতাবেক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে অসাধু অনেকেই এ ওষুধটি নিয়ে ব্যবসায়িক মুনাফা লাভের সুযোগ নিতে পারেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!