উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে উদযাপন করা হয় শেখ রাসেল দিবস।

রাজধানী তাশখন্দে চ্যান্সারির ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নারে স্থাপিত শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম । এ সময় শেখ রাসেল এবং তার শহীদ পরিবারের সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

শহীদ শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করে শোনানো হয় এবং ক্ষণজন্মা শহীদ শেখ রাসেলের জীবন নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। রাষ্ট্রপতির বাণী পড়ে শোনান বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী উম্মুল ফাতেমা এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনান দূতাবাসের মন্ত্রী ও ডিসিএম নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ

Travelion – Mobile

আলোচনা পর্বে বাংলাদেশ কমিউনিটি থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রকৌশলী গোলাম নবী ও প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম আলোচনায় অংশ নেন। বক্তারা শহীদ শেখ রাসেলের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্যে বাঙালির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুর পরিবার যে আত্মত্যাগ করেছিলেন তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করেন, যিনি ১৫ আগষ্ট কালোরাতে ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছিলেন।

 শহীদ শেখ রাসেলসের প্রতিকৃতি নিয়ে শিশুদের অঙ্কন প্রতিযোগিতা। বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন  বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী উম্মুল ফাতেমা।
শহীদ শেখ রাসেলসের প্রতিকৃতি নিয়ে শিশুদের অঙ্কন প্রতিযোগিতা। বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী উম্মুল ফাতেমা।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সদা হাস্যোজ্জ্বল শেখ রাসেল ছিলেন নিষ্পাপ শিশু। ৭৫’এর ঘাতকরা তাকেও রেহাই দেয়নি। আজ তিনি বেঁচে থাকলে, আমরা হয়তো একজন দূরদর্শী ও আদর্শ নেতা পেতাম।

এই উপলক্ষে শহীদ শেখ রাসেলসের প্রতিকৃতি নিয়ে বিভিন্ন জাতীয়তার শিশুদের মধ্যে অঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায়ো কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ফারিহা মারজান প্রথম, বাঙালি সম্প্রদায়ের বুশরা কাজী তাসনিয়া দ্বিতীয় এবং মির্জো উলুগবেক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মোতাবর অথামোভা তৃতীয় স্থান অর্জন করে।

দ্বিতীয় প্রতিযোগিতা ছিল ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ এবং এই প্রতিযোগিতায় মির্জো উলুগবেক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের মোতাবর অথামোভা প্রথম, বাঙালি কমিউনিটির নবী ইউসুফ দ্বিতীয় এবং মির্জো উলুগবেক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নাজোকাত অথামোভা তৃতীয় স্থান অর্জন করেন।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সহধর্মিনী উম্মুল ফাতেমা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল অতিথির মধ্যে শেখ রাসেলের লোগোসহ ক্যাপও বিতরণ করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!