মরিশাসে শেখ রাসেল দিবসে সৈকত পরিস্কার ও বৃক্ষরোপনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
মরিশাসে সমুদ্র সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। দেশটির পরিবেশ, সলিড ওয়াস্ট ম্যানেজম্যন্ট ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিচ অথরিটি মরিশাসের সাথে যৌথ উদ্যোগে পি জি মেলভি পাবলিক বিচে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
পরিবেশ, সলিড ওয়াস্ট ম্যানেজম্যন্ট ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী কাভিদাস রামানো প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচীর সূচনা করেন। মরিশাসের আর্ট ও কালচারাল হেরিটেজ মন্ত্রী আভিনাশ তিলক এবং বিচ অথরিটির চেয়ারম্যান জনাব ডেনিয়েল ইরিক কিভ লওরেন্ট অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিছিলেন।
শহীদ শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করে শোনানো হয় এবং ক্ষণজন্মা শহীদ শেখ রাসেলের জীবন নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
মরিশাস সরকারের পরিবেশ, সলিড ওয়াস্ট ম্যানেজম্যন্ট ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী কাভিদাস রামানো বলেন , পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের কর্মসূচী আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ও কর্মোউদ্দীপক। বাংলাদেশ হাইকমিশনের আহ্বানে আজকের এই আয়োজন সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য নান্দনিক করার পাশাপাশি সৈকতের পরিবেশ রক্ষায় সকলকে সচেতন করে তুলবে।
তিনি আরো বলেন যে, মরিশাস জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ ৫২তম দেশ হিসেবে আমাদের এই কর্মযজ্ঞ অবশ্যই পরিবেশ রক্ষার্থে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
মরিশাসের আর্ট ও কালচারল হেরিটেজ মন্ত্রী আভিনাশ তিলক বলেন যে, পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো আমরা যেমন আমাদের বসতবাড়ী পরিস্কার রাখি, তেমনি রাষ্ট্র তথা জনগনের সম্পদ যেমন সমুদ্র সৈকতও পরিস্কার রাখবো।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ তাঁর স্বাগত বক্তব্যে প্রথমেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্য এবং শিশু রাসেলের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, ১৫ই আগস্টের কালো রাতে খুনীরা ১০ বছরের ছোট্র শিশুটিকেও রেহাই দেয়নি। আমরা এই নির্মম, নৃশংস ও ঘৃণ্য হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা আজকে শেখ রাসেলের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং যে কোন কল্যাণমূলক কাজই শ্রদ্ধা নিবেদনের সর্বোত্তম উপায়।
এছাড়াও তিনি সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন যে, দেশেই হোক আর বিদেশের মাটিতেই হোক যে কোন ভাল কাজে আমরা আপনাদেরকে সবসময় পাশে চাই।
কর্মসূচীতে জাপানের রাষ্ট্রদূত, সিডিএ, যুক্তরাষ্ট্র, সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্য, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিচ অথরিটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ড্রিস্ট্রিক কাউন্সিলের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে এ কর্মসূচীকে সফল করেন।
সকল অংশগ্রহণকারী দূতাবাস কর্তৃক সরবরাহকৃত শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতকৃত বিশেষ টি-শার্ট পড়ে কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।