ইথিওপিয়ায় উৎসাহ-উদ্দীপনায় শেখ রাসেল দিবস উদযাপন
ইথিওপিয়ায় ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে উদযাপিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী স্মরণে”শেখ রাসেল দিবস।
‘শেখ রাসেল দীপ্ত জয়োল্লাস, অদম্য আত্মবিশ্বাস’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজধানী আদ্দিস আবাবায় বাংলাদেশ দূতাবাস কয়েকটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে স্থানীয় ইথিওপিয়ান, প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটি এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ ও তাদের পরিবারবর্গ অংশ নেন।
দিবসের শুরুতে সকালে দূতাবাসের পক্ষ থেকে আদ্দিস আবাবায় একটি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন, রেহেল এবং হোয়াইট বোর্ড ও লেখনী সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ইথিওপিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম এইসব সামগ্রী তুলে দেন। এ সময় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা শেখ রাসেল এবং বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
এরপর ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২১‘ উপলক্ষ্যে স্থানীয় শিশুদের নিয়ে চিত্রাংকণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং বিজয়ী প্রতিযোগীদের এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে আকর্ষণীয় পুরস্কার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
দুপুরে দূতাবাস ভবনে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারবর্গ শেখ রাসেল এবং তার শহীদ পরিবারের সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের সকল শহিদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করা হয়।
শহীদ শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয় এবং ক্ষণজন্মা শহীদ শেখ রাসেলের জীবন নিয়ে নির্মিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
স্বতঃস্ফূর্ত মুক্ত আলোচনায় প্রবাসী বাংলাদেশি বক্তারা শহীদ শেখ রাসেলের জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম সতার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হলেও তার মূল্যবোধ, নীতি ও আদর্শ আরও শক্তিশালী হয়েছে এবং স্বাধীনতা বিরোধীরা-এ ভয়েই ১৯৭৫ সালের কালোরাতে শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকলকে হত্যা করেছে।
শেখ রাসেলের একই স্কুলে পড়বার স্মৃতিচারণ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ রাসেলের জন্ম বার্ষিকী পালনের উদ্দেশ্যই হলো যে ভবিষ্যতে যেন আর কোন নিষ্পাপ শিশু এভাবে নৃশংসতার শিকার না হয় এবং পৃথিবীর সকল শিশু যাতে পিতা-মাতার স্নেহ ও ভালোবাসায় সিক্ত থেকে বড় হয়ে উঠতে পারে।
তিনি প্রধানমন্ত্রীর সূচিত উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত হতে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে আহবান জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদশর্ন করা হবে।