ইতালিতে শুক্রবার একদিনেই মারা গেল ২৫০ জন

ইতালিতে শুক্রবার ১৩ (মার্চ) একদিনেই রেকর্ড সংখ্যক ২৫০ জন নতুন করে মারা গেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা হাজার অতিক্রম করে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৬৬ জনে।

নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে আরো ২ হাজার ৫৪৭ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৬৬০ জনে। সব মিলিয়ে বিশ্বের আক্রান্ত ১৩৬ দেশের মধ্যে শুক্রবারও সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যার দিক দিয়ে তালিকার শীর্ষে ছিল ইতালি।

এদিকে শুক্রবার ইতালির সব পুলিশ স্টেশন (কস্তুরা) এবং রোমের ইমিগ্রেশন অফিস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যাদের হাতের ছাপ (ফিঙ্গার) এর তারিখ রয়েছে তাদেরকে এসএমএসের মাধ্যমে পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

Travelion – Mobile

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতায় এক সপ্তাহেই অচল হয়ে পড়েছে পুরো ইতালি। সব মিলিয়ে আক্রান্ত ১৭ হাজার ৬৬০ জনের মধ্যে গত সাত দিনেই আক্রান্ত হয়েছে ১৩ হাজার ২৪ জন। আর মৃত মোট ১ হাজার ২৬৬ জনের মধ্যে গত সাত দিনে মারা গেছে ১ হাজার ৬৯ জন। এক মাস আগেই করোনার রোগী শনাক্ত হলেও সরকার গুরুত্ব না দেওয়ায় দেশব্যাপী দ্রুত ছড়িয়েছে।

সার্বিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৩ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করে শতাধিক রোগী শনাক্ত করে মিলানসহ লোম্বার্দিয়া অঞ্চলে। ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারিভাবে ঘোষণা দেওয়ায় দেশব্যাপী আতংক দেখা দেয়। এরপর থেকেই বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। হঠাৎ এ মাসের ৭ তারিখে ৩৬ জন মারা যায় এবং ১ হাজার ২৪৭ জন একদিনে আক্রান্ত হয়ে পড়লে সরকারের টনক নড়ে।

এরপর ধারাবাহিকভাবে ৮ মার্চ মারা যায় ৯৭ জন এবং আক্রান্ত হয় ১ হাজার ৭৯৭ জন। ৯ তারিখে মারা যায় ১৩৩ জন এবং নতুন আক্রান্ত হয় ১ হাজার ৪৯২ জন। ওই দিন রাতে ইতালির প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। কিন্তু এতেও ভাইরাস মোকাবেলায় কার্যকর কোনো উন্নতি হয়নি।

১০ মার্চ মৃতের সংখ্যা আরো বেশি ১৬৮ জন এবং নতুন আক্রান্ত হয় ৯৭৭ জন। ১১ মার্চ মারা যায় ১৯৬ জন আর আক্রান্ত হয় ২ হাজার ৩১৩ জন।

বৃহস্পতিবারও একই অবস্থা, কোনো উন্নতি নেই। আক্রান্ত হয় রেকর্ড সংখ্যক ২ হাজার ৬৫১ জন এবং মারা যায় ১৮৯ জন। তবে শুক্রবার পেছনের সব ছাড়িয়ে মৃতের সংখ্যার রেকর্ড ভেঙে ২৫০ জন মারা গেছে। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৫৪৭ জন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!