আমেরিকার জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, বহিস্কৃত সা. সম্পাদক অর্থ আত্মসাৎকারী
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকার নেতাদের দাবি, বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম সংগঠনের ৩ লাখ ৩২ হাজার ডলার আত্মসাৎ করেছেন। তার অর্থ কেলেংকারির বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। সহসাই নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটের মামা’স পার্টি হলে অ্যাসোসিয়েন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি বদরুল হোসেন খান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা বলেন, মইনুল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে নিয়ম বর্হিভূতভাবে জালালাবাদের অর্থ তুলে ‘কথিত জালালাবাদ ভবন’ ক্রয়ের নামে। এই অর্থ আদায়ে তারা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম বলেন, আমরা আশা করছি মহামান্য আদালতের সুবিচারে জালালাবাদবাসী এই অর্থ ফেরত পাবে। কিন্তু জালালাবাদের ৩ লাখ ৩২ হাজার ডলার তুলে মইনুল যে বাড়ি ক্রয় করেছিল তা নিলামে উঠতে যাচ্ছে। ব্যাংক গত ৮ মাসে মইনুলের কাছ থেকে মর্টগেজ না পাওয়ায় তা ফরক্লোজারে যাবার পথে। এমতাবস্থায় জালালাবাদের প্রায় সোয়া ৩ লাখ ডলার নিয়ে উদ্বিগ্ন। বিষয়টি বৃহত্তর সিলেটবাসীকে অবহিত করার জন্যই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন।
বদরুল খান বলেন, মইনুল ইসলাম ‘কথিত জালালাবাদ ভবন’ এর বাড়িটি ক্রয়কালে অবৈধভাবে জালালাবাদের ফান্ড থেকে ৩ লাখ ৩২ হাজার ডলার তুলে ডাউন পেমেন্ট দেন। বাড়িটি কেনার সময় সংগঠনের তহবিল থেকে অর্থ নেয়ায় আমরা লিয়েন হিসেবে দাবি করি। কিন্তু মইনুল গত ৮ মাস ধরে মর্টগেজ না দেয়ায় বাড়িটি ফরক্লোজারে যাবার উপক্রম হয়েছে। তার কাগজপত্র আমরা ব্যাংক থেকে পেয়েছি। আর বাড়িটি ব্যাংক নিয়ে নিলে জালালাবাদ এসোসিয়েশন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আজমল হোসেন কুনু, বদরুন নাহার খান মিতা, সদরুন নুর, শফি উদ্দীন তালুকদার, আব্দুল আলীম, মিজবাহ মজিদ, মিজবাহ আহমেদ, আতাউর রহমান সেলিম, আহমেদ জিল্লু, জুনেদ এ খান, এডভোকেট নাসির উদ্দীন, ফয়সল আলম, সাইফুর খান হারুন, শামীম আহমেদ ও মান্না মুনতাসির।
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ