অবৈধ প্রবাসীদের দেশে ফেরার খরচ বহন করবে না কুয়েত

বসবাস বা আকামা আইন ভঙ্গকারী অবৈধ প্রবাসীদের দেশে ফেরত যাওয়ার কোন খরচই বহন করবে না কুয়েত সরকার।

দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সম্প্রতি যেসব প্রবাসী নির্বাসিত হবেন তাদের সব খরচ বহন করার দায়িত্ব স্পন্সর বা নিয়োগকারিদের।

আরব টাইমস সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল-খালেদ আল-হামাদ আল-সাবাহ’ র নেতৃত্বে মন্ত্রী পরিষদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পর স্থানীয় মিডিয়াকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আল সালেহ এই ঘোষণা তথ্য দেন।

Travelion – Mobile

তিনি জোর দিয়ে বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাসনের খরচ রাষ্ট্রের সরকারি কোষাগার বহন করবে না বরং আইন অমান্যকারীদের স্পন্সর বহন করবে।

আরব টাইমস প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল সালেহ স্বীকার করেছেন যে কুয়েতি সরকার এরমধ্যে নির্বাসন সংক্রান্ত কিছু খরচ করে ফেললেও বিষয়টি সরকার পুনঃবিবেচনায় নিয়েছে। যেহেতু এসব অর্থ কুয়েতি জনগণের সেহেতু তা আইন লঙ্ঘনকারীদের খরচে ব্যবহার করা যৌক্তিক নয়। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যারাই অপরাধ করবে, তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে।

যদিও গেল ৩০ মার্চ দেশটির সরকার বর্তমান সংকটের কথা বিবেচনায় নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। অবৈধ প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল, যেখানে কোন আর্থিক জরিমানা না দিয়ে এবং বিমান টিকেটের খরচ না করে দেশে ফিরতে পারার সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল।

১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মাসব্যাপী সাধারণ ক্ষমার আওতায় বিভিন্ন দেশের নারী-পুরুষ মিলিয়ে মোট ২৩ হাজার ৫০০ জন অবৈধ প্রবাসীদের সুযোগ নেন। এর মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন।

ক্যাম্পে থাকা সাধারণ ক্ষমার এসব প্রবাসীদের নিজেদের উড়োজাহাজে দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে কুয়েত সরকার, যদিও বেশিরভাগই অপেক্ষায় রয়েছেন। নতুন ঘোষণার পর তাদের ফেরত পাঠানো প্রক্রিয়ার ব্যয়ভার কিভাবে হবে সেটাই এখন ভাবনা বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে। কারণ বাংলাদেশির প্রায় সকলেই এখনও ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!