ইউএস-বাংলা পরিচালনা করল প্রথম কার্গো ফ্লাইট

আজ ঢাকা-ব্যাংকক-ঢাকা রুটে প্রথম কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করলো ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইউএস-বাংলা’র অনেক সফলতার মধ্যে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা বাংলাদেশের এভিয়েশনের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে বলে জানানো হয়েছে সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ।

ঢাকা থেকে রপ্তানীযোগ্য পণ্য নিয়ে ইউএস-বাংলার বিএস-২১৩ কার্গো ফ্লাইটটি সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে এবং ব্যাংককের সূবর্ণভূমি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় দুপুর ১:০০ টায় অবতরন করে।

ব্যাংকক থেকে বিএস-২১৪ কার্গো ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে উড্ডয়ন করে বিকাল ৫টা ৫০ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ঐতিহাসিক কার্গো ফ্লাইটটি অবতরন করে।

Travelion – Mobile

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জেনারেল ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশনস) মো. কামরুল ইসলাম জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অত্যন্ত সুনামের সাথে প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছে ইউএস-বাংলা। বর্তমানে মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের কারনে সারাবিশ্বের সাথে বাংলাদেশের আকাশপথের পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা চরমভাবে বিঘিœত। একমাত্র ইউএস-বাংলার একটি মাত্র প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট সপ্তাহের প্রতি শনিবার ঢাকা-গুয়াংজু রুটে পরিচালনা করছে।

করোনা দূর্যোগে দেশের আমদানী-রপ্তানীকে সচল রাখার জন্য ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সরকারের কাছে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে এবং সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে ইউএস-বাংলাকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি প্রদান করে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে বর্তমান অবস্থায় বিভিন্ন দেশ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিশেষ করে মহামারী করোনাভাইরাসের সময়কালীন স্বাস্থ্যসেবাকে সচল রাখার জন্য চিকিৎসকদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী আমদানী করা যাবে। এছাড়া জরুরী রপ্তানী পন্য সামগ্রী বিশেষ করে গার্মেন্টস পন্য, পচনশীল দ্রব্য শাক-সবজি ইত্যাদি বিদেশে রপ্তানীতে ভুমিকা রাখবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

দেশের আমদানী-রপ্তানীর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে ইউএস-বাংলা প্রত্যক্ষ ভুমিকা রাখতে পারবে। প্রতিটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফটে প্রায় ১৫ টন কার্গো পরিবহন করতে পারবে। বাংলাদেশের সাথে কার্গো পরিবহনে যেসব দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সেসব দেশে কার্গো পরিবহন করতে পারবে। প্রাথমিকভাবে এশিয়ার দেশগুলোতে বিশেষ করে সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া, চীন, সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, ভারত, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে কার্গো পরিবহনের পরিকল্পনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

ইউএস-বাংলার কার্গো ফ্লাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহীদের +৮৮০১৭৭৭৭০৭৫০৩ মোবাইলে নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!