ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে না ফেরার অনুরোধ রাষ্ট্রদূতের

ওমানে বসবাসরত প্রবাসীদের এই মুহুর্তে দেশে না ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো.গোলাম সারোয়ার।

শনিবার (৯ এপ্রিল) ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশ্যে এক খোলা চিঠিতে এই অনুরোধ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন,’করোনা মহামারি কোন দেশের একক সমস্যা নয়। আপনারা ভীত সন্ত্রস্ত না হয়ে ধৈর্যশীল ও সাহস রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, “ওমানে বৈধ ভাবে যদি কোন নূন্যতম আয়ের সুযোগ থাকে তাহলে আবেগতাড়িত হয়ে দেশে যাবেন না। কারণ একসাথে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই মুহুর্তে দেশে গিয়ে নতুন করে জীবন জীবিকার ব্যবস্থা করতে আরো কঠিন চ্যালেন্জের মুখোমুখি হতে হবে। তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ আপাতত কষ্ট করে হলেও বিদেশে থাকার চেষ্টা করুন। দৃঢ বিশ্বাস, অন্যান্য দেশের মতো সবার সহযোগিতায় ওমানও স্বাভাবিক হয়ে ঘুরে দাড়াবে।”

Travelion – Mobile

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করোনা প্রতিরোধে নেওয়া পদক্ষেপের জন্য ওমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন,মহামান্য সুলতান হেইতাম বিন তারিকের নেতৃত্বে ওমান সরকার জাতি-ধর্ম বর্ণ, বৈধ-অবৈধ নির্বিশেষে বিনামূল্যে সবার জন্য করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা করেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবী রাখে।”

রাষ্ট্রদূত করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে পড়া প্রবাসীদের ত্রাণ বিতরণের বিষয়ে বলেন, “সরকারের দেয়া ত্রাণ তহবিল থেকে ইতিমধ্যে ৩ হাজার ৫০০ জন কম আয়ের প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত অর্থায়ানে আরও ৫০০ জনকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রবাসী বিভিন্ন সংগঠন ও বিত্তবান ব্যক্তিরাও খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন।”

এই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ দূতাবাস সরকারের দেওয়া বাজেট থেকে আগামী দুই সপ্তাহের ভেতর আরও ৭ হাজার কম আয়ের প্রবাসীদের ত্রাণ দেওয়া প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত ।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানি, লকডাউনে পড়ে প্রবাসীরা নিদারুণ কষ্টে দিন পার করছেন। আন্তরিকতা থাকা সত্বেও সীমাবদ্ধতার কারণে বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ সবার কাছে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।”

এই দুর্যোগময় মুহুর্তে রাষ্ট্রদূত ওমানে বসবাসরত সচ্ছল প্রবাসীদের ত্রাণ সহায়তায় এগিয়ে আসার আহবান জানান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!