দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালযেশিয়ায় গভীর রাতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) ভোরে দেশটির রাজধানীর পার্শ্ববর্তী একটি ক্যাম্পসাইটে ভূমিধসের এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছেন।
মালয়েশিয়া প্রবাসের খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ
এছাড়া এই ঘটনায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ উদ্ধার হলেও এখনও ২০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এদিকে জীবিতদের সন্ধানে ঘটনাস্থলে কাজ করছেন অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী কর্মীরা।
শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৩টার দিকে রাজধানী কুয়ালালামপুরের উপকণ্ঠে সেলাঙ্গর রাজ্যে ক্যাম্পিং সুবিধাসহ একটি জৈব খামারের কাছে রাস্তার পাশে ভূমিধসের এই ঘটনা ঘটে বলে রাজ্যটির দমকল ও উদ্ধার বিভাগ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
এ দিকে স্থানিয় রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ৯২ জন গভীর রাতের এই ভূমিধসের কবলে পড়েন এবং তাদের মধ্যে ৫৯ জনকে নিরাপদে পাওয়া গেছে বলে বিভাগটি জানিয়েছে। এই ঘটনায় ১৬ জন নিহত হওয়া ছাড়াও ৮ জনকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্ওি করা হয়েছে।
সেলাঙ্গর রাজ্য দমকল ও উদ্ধার বিভাগের পরিচালক নোরাজাম খামিস বলেছেন, আনুমানিক ৩০ মিটার (১০০ ফুট) উচ্চতা থেকে ভূমিধসের এই ঘটনা ঘটে এবং এর ব্যাপ্তি ছিল প্রায় এক একর এলাকাজুড়ে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জালিহা মুস্তফা এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, যাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে একজন গর্ভবতী, অন্যদের ছোটখাটো কাটা থেকে শুরু করে মেরুদন্ডে আঘাত রয়েছে।
জেলা পুলিশ প্রধান সুফিয়ান আবদুল্লাহ জানান, নিহতরা সবাই মালয়েশিয়ান এবং তাদের মধ্যে প্রায় ৫ বছর বয়সী একটি শিশুও রয়েছে।
কুয়ালালামপুরের বাটাং কালি শহরের প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩০ মাইল) উত্তরে গেনটিং হাইল্যান্ডসের জনপ্রিয় পাহাড়ি এলাকার বাইরে বিপর্যয়কর এই ঘটনাটি ঘটে। এই এলাকাটি রিসোর্ট এবং প্রাকৃতিক সৌন্দয্যের জন্য পরিচিত।
সেলাঙ্গর হলো মালয়েশিয়ার সবচেয়ে ধনী রাজ্য এবং এর আগেও রাজ্যটি ভূমিধসের শিকার হয়েছে। এই অঞ্চলে এখন বর্ষা মৌসুম চলছে তবে সেখানে গত রাতে কোনও ভারী বৃষ্টি বা ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়নি।
এক বছর আগে মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় প্রায় ২১ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল।
মালয়েশিয়া প্রবাসের খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ