বিয়ের জন্য পাস করতে হবে তিন মাসের কোর্স পরীক্ষা!
পাত্র-পাত্রী কিংবা অভিভাবক রাজি থাকলেই কাজি বিয়ে করাতে পারবেন না। পাত্র-পাত্রীর বিয়ের পরীক্ষায় পাস করার সার্টিফিকেট থাকতে হবে, যেমন চাকরির জন্য প্রয়োজন হয় শিক্ষকতা যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
কোর্স করা না থাকলে হবে না বিয়ে। সার্টিফিকেট দেখেই বিয়ে পড়াবেন কাজি বা রেজিস্ট্রি অফিস।
আগামী বছর থেকে এমনই নিয়ম চালু হতে চলেছে মুসলিমপ্রধান দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীকে শুধু কোর্স কমপ্লিট করলেই হবে না, তাতে পাসও করতে হবে বিয়েতে আগ্রহী ছেলে-মেয়েকে।
সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স কো-অর্ডিনেটিং মন্ত্রী মুহাদজির এফেন্দি এই ঘোষণা দিয়েছেন।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রি-ওয়েডিং এই কোর্সের মেয়াদ হবে তিন মাস। কোর্স শেষের পরে সরকারের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণকারীদের প্রশংসাপত্র দেওয়া হবে। সেটি দেখালেই মিলবে বিয়ের অনুমতি।
কিন্তু যদি কেউ এই কোর্সে পাস না করলে বিয়ে করতে পারবে না। সঙ্গতকারণে প্রশ্ন ওঠেছে কী রয়েছে এই বিয়ের কোর্সে?
বলা হয়েছে, এতে যৌন শিক্ষা, বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক জ্ঞান ও সন্তান লালন-পালনের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। এই কোর্স পারস্পরিক শ্রদ্ধা বাড়ানো ও সুন্দর পরিবার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও আশাবাদী ইন্দোনেশিয়া সরকার।
তবে এই কোর্স করতে পকেটের টাকা খরচ করতে হবে না সে দেশের বাসিন্দাদের। সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যেই করানো হবে এই কোর্স।
একবারে পাস করতে না পারলে বারবার কোর্স করা যাবে। তবে যতক্ষণ না পাসমার্ক মিলছে ততক্ষণ বিয়ের পিঁড়ি থেকে দূরে থাকতে হবে।