যাত্রীদের সুস্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও মঙ্গলকে অগ্রাধিকার দিয়েই করোনাপরবর্তী সূচিতে নতুন ফ্লাইট যোগ করে চলেছে তার্কিশ এয়ারলাইন্স। বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত নেটওয়ার্কের সকল দেশের সাথে মিল রেখে ঢাকা থেকে সপ্তাহে পঞ্চম ফ্লাইটের ঘোষণা দিয়েছে তুরস্কের জাতীয় বিমানসংস্থাটি।
আগামীকাল সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে বাড়তি ফ্লাইটটি ঢাকা ইস্তানবুল রুটে যাত্রী পরিবহন করা শুরু করবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমনের পরিধি নিয়ন্ত্রনে আসতে থাকা দেশগুলোতে পূনরায় বিমান চলাচলের পরিকল্পনার আলোকে গত ১৭ জুলাই ঢাকা থেকে সপ্তাহে ৩টি করে ফ্লাইট চালু করেছিল তুরস্কের পতাকাবাহী বিমান সংস্থাটি। পরে বাড়ানো হয় আরেকটি। আর কাল থেকে সপ্তাহের ৫দিন রবি, সোম, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শুক্রবার ঢাকা থেকে ফ্লাইট চলবে।
বিমান সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তার্কিশ এয়ারলাইন্স, ইউরোপের একমাত্র প্রতিনিধি বিমানসংস্থা হিসেবে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করেছে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে। এই সংযোগ যাত্রাকে আরো আরামপ্রদ করে তুলতে ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে ড্রিমলাইনার ৭৮৯ মডেলের অত্যাধুনিক বিমানের মাধ্যমে।
সহনশীল আদ্রতা নিরুপন, খোলামেলা ও প্রশস্ত অনুভুতির কারনে এই মডেলের বিমান দুরপাল্লার যাত্রায় অধিক গ্রহনযোগ্য। এছাড়া যাত্রীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিবেচনায় প্রতিটি ফ্লাইটে বিতরন করা হচ্ছে মাস্ক, সেনেটাইজার ও ওয়েট টিস্যুসহ বিশেষ হাইজেনিক কিট।
১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত তুরস্কের পতাকাবাহী বিমান তার্কিশ এয়ারলাইন্স ৩৩৮ বিমানের বহর নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে যাত্রী ও কার্গো বিভাগ দুটিতে। এর সদর দপ্তর ও হাব তুরস্কের ইস্তানবুলে।
তার্কিশ এয়ারলাইন্স তুরস্কের অভ্যন্তরে ৪১টি ডমেস্টিক এবং আন্তর্জাতিক ২৫৭টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে। যাত্রী পরিবহন গন্তব্যের হিসাবে পৃথিবীর ১ম অবস্থানে থাকা বিমানটি ১২৪টি দেশের মোট ৩০৬টি গন্তব্যে যাতায়াত করে থাকে। আন্তর্জাতিক বিমানসংস্থা স্টার এলাইয়েন্স এর সদস্য তাকিশ এয়ারলাইন্স পরপর ৬বার ইউরোপের ১ নাম্বার বিমান পুরস্কারে ভুষিত হয়েছে।
