আমিরাতপ্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হাফেজ মো. জামাল ‘সিআইপি’ নির্বাচিত
বৈধ চ্যানেলে দেশে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতিতে আমিরাতপ্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হাফেজ মোহাম্মদ জামাল প্রথমবারের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মর্যাদাপূর্ণ এনআরবি সিআইপি (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) নির্বাচিত হয়েছেন।
গত বুধবার (২০ ডিসেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে ২০২২ সালের জন্য তিনটি আলাদা ক্যাটাগরিতে সারাবিশ্বে থেকে নির্বাচিত ৭৫ জন এনআরবি বা প্রবাসী সিআইপির তালিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে ‘বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী’ ক্যাটাগরিতে সিআইপি হিসেবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা অর্জন করেছেন হাফেজ মোহাম্মদ জামাল।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রবাসী সিআইপির সনদ গ্রহণ করবেন হাফেজ মোহাম্মদ জামাল।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা গ্রামের আলী বক্স সওদাগর বাড়ির সামছুল আলম ও খাতিজা বেগমের ছেলে হাফেজ মোহাম্মদ জামাল ভবিষ্যতেও দেশের অর্থনীতিতে অবদান অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টায় সকলের দোয়া কামনা করছেন।
২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে হাফেজ মোহাম্মদ জামালের প্রতিষ্ঠিত ম্যানপাওয়ার সল্যুশন কোম্পানি আরারবকো গ্রুপ। বর্তমানে আমিরাতের সিভিল ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক্যাল সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি ও সরবরাহে একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠানের পরিণত হয়েছে। বর্তমানে তার কোম্পানিতে জনশক্তির পরিমাণ সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি।
অনুভূতি জানাতে গিয়ে হাফেজ মোহাম্মদ জামাল বলেন, আমিরাতে সাধারণ শ্রমিক ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিদের চাকরি ভিসা বন্ধ থাকার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা কোম্পানির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই দেশটির নির্মাণ খাতে সরকারি বেসরকারি গ্রাহকদের কাছে আস্থাভাজন হতে পেরেছি।
কুটনৈতিক তৎপরতার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশিদের ভিসার দ্বার পুরোপুরি অবমুক্ত করা গেলে আমাদের ব্যবসার পরিধি আরো বাড়ানো যেত এবং তাতে দেশের রেমিটেন্স প্রবাহ বেগবান হতাে নিঃসন্দেহে।
দুই বছরের জন্য নির্বাচিত এনআরবি সিআইপি হিসেবে হাফেজ মোহাম্মদ জামাল যে সব সুবিধা পাবেন তার মধ্যে রয়েছে—সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র দিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশ, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারী বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হওয়ার যোগ্যতা,দেশে-বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের অনুষ্ঠানে অতিথি এবং বাংলাদেশে উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন।
এ ছাড়া এনআরবি সিআইপিরা বিমান, রেল, সড়ক ও জলযানে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ও স্পেশাল হ্যান্ডলিংয়ের সুবিধা পাবেন। সিআইপিদের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতোই সুযোগ-সুবিধাও পাবেন প্রবাসী সিআইপিরা।
ইতিপূর্বে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে থেকে শীর্ষ প্রবাসী বাংলাদেশি রেমিটার্স সম্মাননাও অর্জন করেন হাফেজ মোহাম্মদ জামাল।
সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ