৪৯তম জাতীয় দিবসে ওমান জুড়ে উৎসবের ঢেউ

বাঙালি জাতির জন্য ডিসেম্বর মাস যেমনটা গুরুত্বপূর্ন, ওমানিদের জন্য নভেম্বর মাস শুধুই বছরের দ্বিতীয় শেষ মাস নয়। এর চেয়ে বেশি কিছু। কারণ এটি ওমানের জাতীয় দিবস উদযাপনের মাস এবং এই বছর ৪৯তম জাতীয় দিবস উদযাপন করছে বিশ্বের শান্তিপ্রিয় দেশের তালিকায় শীর্ষ দশে থাকা আরব্য এই দেশটি।

ওমানের আধুনিক রেনেসাঁসের কারিগর-দেশটির শাসক-মহামান্য সুলতান কাবুস বিন সাইদের প্রতি আনুগত্য এবং কৃতজ্ঞতায় জাতি আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) সুলতানাতের গৌরবময় জাতীয় দিবস উদযপন করছে। ১৯৭০ সালের এ দিনে সুলতান কাবুস সিংহাসনে আরোহণ করেন।

গত ৪৯ বছর মহামান্য সুলতান কাবুস বিন সাইদের দূরদর্শী নেতৃত্বে যে উন্নয়ন দেখেছে তার সম্মানে জাতীয় দিবস ঘিরে পুরো মাসজুড়েই উৎসবে মেতে উঠে ওমানিরা । উৎসবের রঙ ছড়িয়ে পড়ে ওমানে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ প্রবাসীদের মাঝেও।

ওমানের আধুনিক রেনেসাঁসের কারিগর-দেশটির শাসক-মহামান্য সুলতান কাবুস বিন সাইদের
ওমানের আধুনিক রেনেসাঁসের কারিগর-দেশটির শাসক-মহামান্য সুলতান কাবুস বিন সাইদের

Travelion – Mobile

রাষ্ট্রীয় ছুটি
প্রতি বছর জাতীয় দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ ক্ষেত্রেও দেশটি ব্যতিক্রম। বাংলাদেশসহ বিশ্বের নানা দেশের মতো জাতীয় দিবসের তারিখেই সাধারণত ছুটি ঘোষণা করা হয় না, যদি না আগে পরে কোন ছুটি না থাকে। মূলত সাপ্তাহিক ও অন্য বিশেষ ছুটির সাথেই সমন্বয় করে লম্বা ছুটির ব্যবস্থা করে সরকার।

এবছর ২৭ নভেম্বর বুধবার এবং ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুদিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৪ দিনের ছুটি ভোগ করে ১ লা ডিসেম্বর রবিবার পুনরায় কাজ শুরু হবে। জরুরী প্রয়োজনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারি দুপক্ষের সম্মতিতে ছুটির ক্ষতিপূরণ দিয়ে কাজ করানোর জন্য সরকারিভাবে অনুমতি দেওয়া আছে।

দিবসের প্রধান কর্মসূচি
৪৯ তম জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার সৈয়দ বিন সুলতান নেভাল বেসে সামরিক কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করবেন সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার মহামান্য সুলতান কাবুস বিন সাইদ।

ওমানের রয়্যাল আর্মি, ওমানের রয়্যাল এয়ার ফোর্স, ওমানের রয়্যাল নেভি, সুলতানের বিশেষ বাহিনী, রয়েল ওমান পুলিশ এবং রয়েল কোর্ট দিওয়ানের প্রতিনিধিত্বকারী সিম্বলিক ইউনিট সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেবে। উপস্থিত থাকবেন রাজ পরিবারের সদস্য, মন্ত্রী, উপদেষ্টা, কমান্ডার এবং রাজ্যের বেসামরিক ও সামরিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মাস্কাটে ৪৯ তম জাতীয় দিবসের আলোকসজ্জা
মাস্কাটে ৪৯ তম জাতীয় দিবসের আলোকসজ্জা

সশস্ত্র বাহিনী যাদুঘর উন্মুক্ত
জাতীয় দিবস উপলক্ষে সুলতানের সশস্ত্র বাহিনী যাদুঘরটি সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল আটটা থেকে দুপুর দেড়টায পর্যন্ত ওমানি ও প্রবাসীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এ সময়েরমধ্যে দর্শনার্ধীরা বিনামূল্য দেখতে পারবেন সমৃদ্ধ যাদুঘরটি। সুলতানের সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রগতির প্রতিফলন করার জন্য জনসাধারণকে যাদুঘরের বিষয়বস্তু দেখার সুযোগ দেওয়ার উদ্যােগটি নেওয়া হয়েছে । অনেক পাণ্ডলিপি, পরিসংখ্যান এবং ঐতিহাসিক অস্ত্রের মাধ্যমে যাদুঘরটি ওমানি সেনাবাহিনীর ইতিহাস তুলে ধরে।

প্রতিকৃতি প্রদর্শনী
জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) মাসকাটের অপেরা গ্যালারিয়ায় শুরু হচ্ছে মহামান্য সুলতান কাবুসের প্রতিকৃতি সংকলনের প্রদর্শনী হবে। ‘জাতির গর্ব’ শিরোনামে ৫ দিনের এই প্রদর্শনীতে প্রশংসিত ইরানী শিল্পী মাহনৌস আব্বাসঘোলির মিশ্র মিডিয়ায় আঁকা মহামান্য সুলতানের ২০ টি প্রতিকৃতি প্রদর্শিত হবে। আগামী ২১ নভেম্বর প্রদর্শনী শেষ হবে।

আতশবাজি শো
ওমানের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিন জাতীয় দিবস উদযাপন বর্ণাঢ্য করতে দেশ জুড়ে সিরিজ আতশবাজি শোর আয়োজন করা হয়েছে। আতশবাজি শোর নির্ধারিত তিনটি জায়গার হলো রাজধানী মাসকটের আল খুদ বাঁধের কাছে আল সিব ও আমেরাত এবং সালালাহার সাহেল ইত্তিনে পৌরসভা উত্সব মাঠ।। সোমবার ১৮ নভেম্বর রাত ৮ টায় শুরু হবে আতশবাজি ফোটানো উৎসব।

আতশবাজি শো
আতশবাজি শো

নগরসজ্জা
ওমানের ৪৯ তম স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশটির রাজধানী মাস্কাটসহ গোটা সুলতানাতকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। রাস্তাগুলি লাল, সাদা এবং সবুজ পতাকার রঙে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে এবং দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা দেখানোর জন্য উত্তোলন করা হয়েছে জাতীয় পতাকা। আলোকসজ্জা আর পতাকায় সাজানো হয়েছে রাস্তার পাশের সরকারি-বেসরকারি অফিস, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শপিংমল, সুউচচ ভবনসহ নানা স্থাপনা গুলোও।

রাজধানী মাস্কাটের আজাইবা মোড় থেকে সিদাব পর্যন্ত রাজপথ সাজানো হয়েছে। এই বছর বাদ্যযন্ত্র এবং নোটের আকারের পাশাপাশি ফুলের চিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আলোর স্থাপনাগুলি।

রাজধানী মাস্কাটসহ গোটা সুলতানাতকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ছবি : কাজী রাশেদ
রাজধানী মাস্কাটসহ গোটা সুলতানাতকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ছবি : কাজী রাশেদ

মাস্কাট কেন্দ্র থেকে সুলতান কাবুস গ্র্যান্ড মসজিদ পর্যন্ত প্রায় ২,৫০০ বর্ণময় আলোকসজ্জা স্থাপন করা হয়েছে। আল বুস্তান রাউন্ডোবাউট (গােল চত্বর) থেকে বারকা রাউন্ডোবাউট (গােল চত্বর) পর্যন্ত ৪,০০০ জাতীয় পতাকাও লাগানো হয়েছে।

জাতীয় দিবস উদযাপনের সুপ্রিম কমিটির এক কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের লক্ষ্য এমন কিছু প্রদর্শন করা যা ওমানের ঐতিহ্যকে আলোকিত করবে। আর গত দশ বছর ধরে আলোকসজ্জায় এনার্জি সেভিং বাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি। নভেম্বরের শেষ অবধি বাতি এবং সাজসজ্জা থাকবে।

 মাস্কাটে জাতীয় দিবসের আলোকসজ্জা। ছবি : কাজী রাশেদ
মাস্কাটে জাতীয় দিবসের আলোকসজ্জা। ছবি : কাজী রাশেদ

তিনি আরও বলেন, গত বছরের জাতীয় দিবস উদযাপনের সাথে সাথেই এই বছরের ইভেন্টের প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল। তেমনি আগামী বছরের জন্য চলতি প্রকল্পে আমরা একইসাথে কাজ করছি। পরের বছর, জাতীয় দিবস উদযাপন একটি মেগা ইভেন্ট হবে।
জাতীয় দিবসের আলোকসজ্জা
জাতীয় দিবসের আলোকসজ্জা

গাড়িসজ্জা
ওমানে জাতীয় দিবস উদযাপনে বিশেষ এবং ব্যতিক্রমী সংস্কৃতি হচ্ছে গাড়ি সাজানো। ওমানিরা তাদের গাড়িগুলো জাতীয় পতাকা, জাতিয় প্রতীক খঞ্জর এবং তাদের প্রাণপ্রিয় সুলতান কাবুস বিন সাইদের প্রতিকৃতি দিয়ে সজ্জিত করে। এবারও সব শ্রেণির পেশার ওমানিরা তাদের গাড়ি সাজিয়েছেন। অনেকের গাড়ি সাজানোর প্রক্রিয়ায় আছে।

এ উপলক্ষে রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরওপি) যানবাহনের সজ্জা সম্পর্কিত নিয়ম শিথিল করে, অনুমতি দেয় ওমানি পতাকা এবং প্রতীক দিয়ে জনগণ তাড়ের গাড়িগুলো সাজাতে। পুরো নভেম্বর মাস জুড়ে আছে এই অনুমতি।

আরওপির বিধি মোতাবেক, চালকের দর্শন লাইন এবং পিছন থেকে আসা যানবাহনগুলিকে অদৃশ্যমান না করে এমনভাবে গাড়ির বডি এবং পিছনের জানালায় স্টিকার দিয়ে সজ্জিত করা যাবে। কোনভাবেই প্লেট নম্বর, লাইট, সামনের উইন্ডশীল্ড এবং পাশের জানালাগুলি আবরণ করা যাবে না। শুধু ব্যতিক্রম ফোর হুইল ড্রাইভ গাড়ির পাশের আটাকানো জানালাগুলো।

স্টিকারগুলি অবশ্যই সুন্দর করে লাগাতে হবে। কাপড়ের তৈরি সাজসজ্জ এবং অপরিচিত সাজসজ্জা করা যাবে না। এছাড়াও, গাড়ির আকার বা রঙ পরিবর্তন করার অনুমতি দেওয়া হবে না। ৪৯তম জাতীয় দিবসে ওমান জুড়ে উৎসবের ঢেউ 1

ওমানে গাড়ির যন্ত্রাংশ ও সাজসজ্জা পণ্যের বড় আমদানিকারক ও বিপণনকারী প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদের মাস্কাটের আল খোদ এলাকার বিশাল শো রুমটি এখন জাতীয় দিবসের গাড়ি সাজাতে ব্যস্ত। বছর জুড়ে যন্ত্রাংশের সাথে গাড়ির সাধারণ সাজসজ্জার উপকরণ এখানে বিক্রি আর সংযোজিত হলেও এখন জাতীয় দিবসের গাড়ি সাজাতে ব্যবহৃত বিশেষ পণ্যগুলো বিক্রী হচ্ছে দেদারসে। প্রতিবছর এই মাসটিতে ব্যবসা বেশ জমে ওঠে।

তিনি বলেন, “সবাই তাদের রুচি অনুযায়ী গাড়ি সাজান। কেউ কেউ তাদের পুরো গাড়িকে জাতীয় পতাকার রঙ দিয়ে সজ্জিত করতে পছন্দ করেন আবার কেউ গাড়ির একপাশ বা গ্লাস সজ্জিত করে। সবাই ওমান ও মহামান্য সুলতানের প্রতি তাদের ভালবাসা প্রদর্শন করতে আগ্রহী। ”
সব বয়সের লোকেরা তাদের গাড়ি সাজাতে আসেন। তবে তুলনামূলকভাবে তরুণদের ভিড় বেশি, যোগ করেন নাসির মাহমুদ।

ওমানিরাই শুধু নন,বাংলাদেশিসহ প্রবাসীরাদের অনেকেও এ উপলক্ষে তাদের গাড়ি একইভাবে সাজিয়ে থাকেন। ড্রেজার্ট ও ক্রসিংয়ে খ্যাতি পাওয়া নাসির মাহমুদও সবার আগে নিজের গাড়ি সাজিয়ে রেখেছেন প্রিয় প্রবাসের জাতীয় দিবস উপলক্ষে।

ওমানের জাতীয় দিবস উপলক্ষে নিজের গাড়ি এবং নিজেকে সাজিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদ। ছবি আকাশযাত্রা
ওমানের জাতীয় দিবস উপলক্ষে নিজের গাড়ি এবং নিজেকে সাজিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নাসির মাহমুদ। ছবি আকাশযাত্রা

নানা উপকরণ
জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় পতাকা, বেলুন, ব্রোচ, ব্যাজ, রিস্ট ব্যান্ড, স্কার্ফ, ক্যাপ, টি-শার্টসহ বিভিন্ন সামগ্রী কিনে থাকেন। পুরো মাসজুড়েই জাতীয় পতাকার সাথে মিলিয়ে রঙিন জামাকাপড় পরে তাতে জাতীয় প্রতীক সজ্জিত ব্যাজ এবং ব্রোচ পরিধান করে তারা এই দিনের গুরুত্ব দেন, স্মরণে রাখেন। শিশুদের বেশিরভাগই পছন্দ জাতীয় পতাকা আর মুখোশ । বড়রা বেছে নেন ব্যাজ, স্কার্ফ এবং গাড়ির সজ্জার স্টিকার এসব উপকরণ। ।

ওমানি ব্যবসায়ী মুনতাসের বলেন, “একটি পতাকা, একটি স্কার্ফ এবং আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র কিনা ছাড়া কোনও জাতীয় দিবস সম্পূর্ণ হয় না। এই উপকরণগুলিই জাতীয় দিবসকে বছরের অন্যান্য দিনগুলির চেয়ে আলাদা করে। প্রতিবছর আমি আমার গাড়িতে ঝুলাতে একটি পতাকা এবং খঞ্জর স্টিকার অবশ্যই কিনি। এ জাতীয় প্রতীকগুলি ওমান আমাকে যা দিয়েছে তার সাথে আমার সংহতি প্রকাশ করে। ”

ওমানজুড়ে অনেক ভ্রাম্যমান দোকান রয়েছে যেখানে জিনিসগুলি সাশ্রয়ী মূল্যে কেনার জন্য আগ্রহীরা ভিড় করেন। বাকারা এলাকার দোকানি পাকিস্তানের সেলিম হুসেন তার ছোট্ট দোকানটি সামনের অংশে সাজিয়ে রেখেছেন এমন সব পণ্যে । তিনি বলেন, “ওমানীই শুধু নন, প্রবাসী এবং পর্যটকরাও এই পণ্যগুলি কিনে নিয়ে যান জাতীয় দিবস উপভোগ করতে।’

মাস্কাটের একটি শপিং মলে সবজি সাজিয়ে জাতীয় পতাকার রূপ । ছবি : কাজী রাশেদ
মাস্কাটের একটি শপিং মলে সবজি সাজিয়ে জাতীয় পতাকার রূপ । ছবি : কাজী রাশেদ

সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় নানা সাইজের জাতীয় পতাকা। এই মাসটিতেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জাতীয় পতাকা কিনে থাকেন ওমানীরা। “শিশুরা ছাড়াও পতাকা পর্যটকদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় যা তারা উপহার এবং স্যুভেনিয়ার হিসাবে বাড়ি নিয়ে যায়, সেলিম আরও যোগ করেন ।

সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাতকারে বেসরকারী চাকরীজীবি ইউনুস আল আলাওি জানান, তিনি প্রতি বছর নভেম্বর মাসে জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি স্কার্ফ এবং দুটি পতাকা কিনেন। পতাকার একটি ছাদে ঝুলান, অন্যটি নিজের ঘরে রাখেন। তিনি বলেন, “যদিও একটি স্কার্ফ এবং একটি পতাকা দেশের প্রতি আপনার ভালবাসা প্রদর্শনের জন্য যথেষ্ট নয়, তারপরও উদযাপনে অংশ নেওয়ার জন্য দুটোই ভাল মাধ্যম। এগুলো সাশ্রয়ীই কেবল নয়, প্রতি বছরই একটি নতুন স্কার্ফ পরার মজাও নেওয়া যায়।’

শপিং অফার
ওমান জুড়ে বিভিন্ন শপিং মল এবং পণ্যের দোকানগুলি জাতীয় দিবসের সুযোগ নেয় এবং সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য ও পরিষেবা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নামে। এমনকি কিছু দোকান তাদের বিক্রয় এবং লাভ বাড়ানোর জন্য আকর্ষণীয় ‘একটা কিনলে একটা ফ্রি’ অফারও দিচ্ছে।

দুঃস্থ সহায়তা ও বন্দীমুক্তি
প্রতি বছর এই দিনে মহামান্য সুলতান অসহায় দুঃস্থ নাগরিকদের বিভিন্ন সহায়তা দিয়ে থাকেন এবং দীর্ঘ মেয়াদী সাজাপ্রাপ্ত কিছু বন্দীদের বিশেষ ক্ষমার মধ্য দিয়ে মুক্ত এবং স্বাভাবিক জীবনের স্বাদ নেয়ার সুযোগ করে দেন।

[প্রিয় পাঠক, আকাশযাত্রা প্রবাস বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ কমিউনিটির নানান খবর, সংগঠনের খবর, ভ্রমণ, আড্ডা,আনন্দ-বেদনার গল্প, ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। লেখা ছবিসহ মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়]

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!