২৩ বছরে প্রথম লোকসান দেখল বোয়িং

২৩ পর এই প্রথম ক্ষতির মুখে পড়ল মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং। প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে লাভজনক ও জনপ্রিয় ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সৃষ্ট সংকটে এ পরিস্থিতিতে পড়তে হলো।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করে উড়োজাহাজ শিল্পের অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান বোয়িং। এতে দেখা যায় এক বছরে ৬৩ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার হারিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৯৭ সালের পর এই প্রথম ক্ষতির সম্মুখীন হল বোয়িং। জনপ্রিয় মডেল ম্যাক্স ৭৩৭ গ্রাউন্ডেড হওয়ার আগে ২০১৮ সালে বোয়িংয়ের আয় হয়েছিল ১ হাজার ৪৬ কোটি মার্কিন ডলার।

২০১৯ সাল কোনভাবেই বোয়িংয়ের বছর ছিল না। এর পেছনে দুইটি দুঘর্টনায় ৩৪৬ জনের জীবন হরণকারী বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স সঙ্কটের পাশাপাশি ৭৭৭ এক্স প্রকল্পের বিলম্বের বিষয়টিও বিবেচনা আনা হয়েছে। গত বসন্তে উড়ার কথা ছিল ৭৭৭ এক্স, ইঞ্জিন সমস্যার কারণে দীর্ঘতর বিলম্ব হয়।

Travelion – Mobile

ইন্দোনেশিয়া ও ইথিওপিয়ার বড় দুর্ঘটনার পরপরই ৭৩৭ ম্যাক্স গ্রাউন্ডেড করতে শুরু করে বিশ্বজুড়ে বিমানসংস্থাগুলো। এর ফলে বড় সংকটে পড়ে বোয়িং। একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ম্যাক্সের উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্বান্ত নিতে হয় বোয়িংকে। এবার বাৎসরিক হিসেবের খাতায় তারই প্রভাব পড়ল।

 সরবরাহ না হওয়ায়  ৭৩৭ ম্যাক্সের উৎপদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়ঢ বোয়িং

সরবরাহ না হওয়ায় ৭৩৭ ম্যাক্সের উৎপদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়ঢ বোয়িং

২০১৯ সালে উড়োজাহাজ সরবরাহে ব্যাপক হ্রাসের সাক্ষী হয়েছে বোয়িং। ৭৩৭ ম্যাক্স সরবরাহ শূন্যের কোটায় পৌঁছায় উৎপদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল কর্তৃপক্ষ।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৯ সালে সংস্থাটি ৩৮০টি বাণিজ্যিক উড়োজাহজ সরবরাহ করে। এটি ২০১৮ সালের ৮০৬টি উড়োজাহাজ সরবরাহ পরিসংখ্যানের মাত্র ৪৭ শতাংশ। ২০১৮ সালে যেখানে ৫৮০ টি বোয়িং ৭৩৭ বিক্রি হয়, সেখানে ২০১৯ সালে ্সে তা দাঁড়ায় মাত্র ১২৭ টিতে।

মজার বিষয় হল, কেবলমাত্র ৭৩৭ এবং ৭৭৭ এর সরবরাহ আগের বছরের তুলনায় কম ছিল। অন্যান্য মডেলের উড়োজাহাজ বিক্রি আগের মতই ছিল।

বোয়িং বিশ্বাস করে যে ২০২০ এর মাঝামাঝি সময়ে ৭৩৭ ম্যাক্স পুনরায় স্বীকৃতি পাবে, এফএএএ বলেছে যে, এটি আগেও হতে পারে। ম্যাক্স পুনরায় স্বীকৃত হয়ে গেলে পুনরায় সরবরাহ শুরু করতে পারবে বোয়িং। এর অর্থ হ’ল সংস্থার জন্য নগদ অর্থের একটি বড় ধারা আবার খোলা হবের।

বোয়িং ৭৭৭ এক্স প্রকল্পেরও অগ্রগতি হচ্ছে। চলতি সপ্তায় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৭৭এক্স সফলভাবে টেস্ট ফ্লাই সম্পন্ন করে। এ মডেলের উড়োজাহাজটি বোয়িংয়ের ক্ষতি পোষাতে সহায়তা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বোয়িং ৭৭৭এক্স এর ব্যাপারে বিমানসংস্থাগুলোর মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি বোয়িংয়ের।

আগের খবর
২০১৯ : বোয়িংয়ের বছর ছিল না
৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজ উৎপাদন বন্ধ করল বোয়িং

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!