স্কুলে গুলিতে ২১ জনের মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে শোকের ছায়া
যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের স্কুলে গুলি চালানোর ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে দেশটিতে শোকের ছায়া সর্বত্র। টেক্সাসের ইউভ্যালডির একটি প্রাথমিক স্কুলে ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার। ১৮ বছরের এক তরুণ গায়ে বুলেটের বেল্ট লাগিয়ে স্কুলে ঢুকে পড়ে। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সে ছাত্রছাত্রীদের হত্যা করে।
ঘটনায় ১৮ জন শিশু নিহত হয়েছে। মোট মৃত ২১। এর আগে বাড়িতে নিজের দিদিমাকেও গুলি করে হত্যা করে ওই যুবক। পরে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। গুলি চালানোর কারণ এখনো অস্পষ্ট।
জাপান থেকে অ্যামেরিকায় ফিরছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিমানেই তিনি খবরটি পান। বিমানে বসেই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। পরে টুইটও করেন। ওয়াশিংটনে নেমে ফের সাংবাদিক বৈঠক করেন বাইডেন। ঘটনায় নিজের ক্ষোভ চেপে রাখেননি প্রেসিডেন্ট। এর জন্য অস্ত্র আইনকে ফের দায়ী করেছেন তিনি।
টেক্সাসের ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তিনিও জানিয়েছেন, এবার দ্রুত অস্ত্র আইন বদল করা উচিত। নির্বাচন পর্বে বাইডেন-হ্যারিস জুটি জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে তারা অস্ত্র আইন কঠোর করবেন। কিন্তু রিপাবলিকানদের প্রতিরোধে সেই বিল আইনে পরিণত হয়নি। যা নিয়ে বার বার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাইডেন এবং হ্যারিস দুইজনেই।
হোয়াইট হাউস, নৌবাহিনীর জলযান, সামরিক ঘাঁটি, দূতাবাস-সহ সমস্ত সরকারি ভবনে পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
মেক্সিকোর সীমান্তে অবস্থিত ইউভ্যালডি। ছোট্ট এই শহরে মাত্র ১৬ হাজার মানুষের বাস। সেখানেই এলিমেন্টারি স্কুলে আক্রমণ চালায় ১৮ বছরের স্যালভাডোর রামোস। গুলির আওয়াজ পাওয়ার পরেই সেখানে পৌঁছে যায় স্থানীয় পুলিশ। পুলিশের গুলিতে নিহত হয় আক্রমণকারী। তার আগে ২১ জনের প্রাণ নিয়ে নিয়েছে সে।
স্কুলের ভিতর থেকে তখনো সমস্ত মৃতদেহ বার করা হয়নি। স্কুলের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অভিভাবকরা।
গত কয়েকবছরে একের পর এক গুলিচালানোর ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। স্কুলেও আক্রমণ হয়েছে। তবে এত বড় ঘটনা প্রায় ১০ বছর পরে ঘটলো। এর আগে কানেকটিকাটের একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল।