সৌদিতে কার রেসে গতির ঝড় তুলেছেন প্রথম কোন নারী

মরুর রক্ষণশীল ইসলামী দেশ সৌদি আরবের কার রেসিং কোর্সে প্রথম নারী রেসার হিসেবে ইতিহাস গড়লেন রীমা জুফালি নামের সেদেশীয় এক তরুণী।

কয়েক বছর আগেও দেশটিতে এমন ঘটনা ছিল রীতিমত অকল্পনীয়। তবে দেশটির প্রতাপশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বহুল আলোচিত আধুনিক সৌদি আরব কর্মসূচির কল্যানে তা সম্ভব হয়েছে।

সৌদিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কার রেসিংয়ে অংশ নিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী রীমা জুফালি । সম্প্রতি রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত জাগুয়ার আই-পিএসিই ই-ট্রফি রেসে অংশ নিয়ে প্রথম সৌদি নারী রেসার হিসেবে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান তিনি।

Travelion – Mobile

জেদ্দা শহরে জন্ম নেয়া সাতাশ বছর বয়সী রীমা জুফালি লেখাপড়া করেছেন আমেরিকায়। সেখানেই পেশাদার কার রেসিংএ হাতেখড়ি। সম্প্রতি সৌদি সরকার দশকেরও অধিক সময় ধরে ‘কার রেসিং’র ওপর বলবৎ থাকা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে জুফালির তার নিজ দেশে কোন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

রাজধাণী রিয়াদের উপকন্ঠে অনুষ্ঠিতব্য জাগুয়ার আই-পেইস-ই-ট্রফি নামের সম্পুর্ণ বৈদ্যুতিক এই প্রতিযোগিতায় জুফালি একটি অত্যাধুনিক জাগুয়ার গাড়ি নিয়ে ট্র্যাকে নামবেন।

পেশাদার কার রেসিংএ জুফালির অংশ নেয়ার ঘটনাকে দেশটির আধুনিকায়ন কর্মসূচির জন্য একটি মাইল ফলক হিসেবে ইল্লেখ করে দেশটির ক্রীড়া কর্তৃপক্ষের প্রধান যুবরাজ আব্দুল আজিজ বিন তুর্কী আল ফয়সাল বলেন হাজারো দর্শক উপস্থিত থেকে তাকে রেসে উৎসাহ যোগাবে।

রীমা জুফালি লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেশাদার কার রেসার।
রীমা জুফালি লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেশাদার কার রেসার।

মাত্র গত এপ্রিলে জুক্তরাজ্যের একটি পেশাদার রেসের মধ্য দিয়ে জুফালির অভিষেক হলেও টিনএজ বয়স থেকেই ফর্মুলা ওয়ানের মত রেস দেখে ও দ্রুতগতির গাড়ি চালিয়ে রেসিংএ সে সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠে।

আমেরিকায় লেখাপড়া করার সময়েই বেশ কঠিন কার ড্রাইভিং পরীক্ষা পাশ করে এবং বর্তমানে অল্প কয়েকজন সৌদি নারীর মধ্যে সেও একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত পেশাদার কার রেসার।

জুফালি বলেন, বেশির ভাগ সৌদি নারীই গাড়ি চালানো শেখাটা স্বপ্নের মত। আর যারা সে সুযোগ পায় তাদের জন্য রেসে অংশ নেয়াটা দুস্বপ্নের মত। এখন পরযন্ত হাতেগোনা কয়েকজন নারী দেশের বাইরে কোন রেসে অংশ নিয়েছে।

নিজের দেশে প্রথম নারী হিসেবে কোন পেশাদার রেসে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই উচ্ছশিত ও রোমাঞ্চিত, জুফালি যোগ করেন। কোন একদিন ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ ও কঠিন ২৪-ঘন্টার লে-ম্যান্স রেসে অংশ নেয়ার স্বপ্ন দেখেন সৌদি এ তরুণী।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!