লেবানন-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের যাত্রা শুরু

বাংলাদেশের দূতাবাসের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সকল আনুষ্ঠিকতার পর অবশেষে যাত্রা শুরু করল লেবানন-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল।

লেবানন-বাংলাদেশের সম্পর্ককে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া এবং দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন, তথ্য বিনিময়, বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ জ্ঞাতকরণ এবং সর্বোপরি উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্লাটফরমটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহষ্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানী বৈরুতের প্রাণকেন্দ্র সানাইয়াতে অবস্থিত বিবি হাউজে লেবানিজ বিনিয়োগকারী বোর্ডের সদস্য, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উদ্বোধন করা হয় দুদেশের ব্যবসার সেতুবন্ধন বহুল প্রতিক্ষীত এই বিজনেস কাউন্সিল।

Travelion – Mobile

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লেবাননের সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ-লেবানন পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডসিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইয়াসিন জাবের এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুল মোতালেব সরকার।

(বাম থেকে ) বক্তব্য রাখছেন  বাংলাদেশ-লেবানন পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডসিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইয়াসিন জাবের এমপি, লেবানন-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট রিয়াদ বাসাতনি ও   সেক্রেটারি জেনারেল ড. হাসান আল আলী
(বাম থেকে) বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ-লেবানন পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডসিপ গ্রুপের চেয়ারম্যান ইয়াসিন জাবের এমপি, লেবানন-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট রিয়াদ বাসাতনি ও সেক্রেটারি জেনারেল ড. হাসান আল আলী

প্রধান অতিথি ইয়াসিন জাবের এমপি বলেন, বাংলাদেশ অন্যতম বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। এখানে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের কাজের সুযোগ রয়েছে। আজকের এই কাউন্সিলের যাত্রার ফলে দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আব্দুল মোতালেব সরকার বলেন, দূতাবাসের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা, লেবাননের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী বন্ধুদের অকৃত্রিম সহযোগিতার ফলে আজ এটি প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পেয়েছে। এ কাউন্সিল বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বক্তব্য রাখছেন  লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুল মোতালেব সরকার।
বক্তব্য রাখছেন লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুল মোতালেব সরকার।

লেবানন-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট রিয়াদ বাসাতনি বলেন, গার্মেন্টস ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুরো বিশ্বে দ্বিতীয়। লেবানন থেকে বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে।উভয় দেশই এই কাউন্সিলের মাধ্যমে লাভবান হবে।ভবিষ্যতে আরো কিভাবে আমরা লাভবান হব সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করব।

কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল ড. হাসান আল আলী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ খুবই ভাল। লেবাননের বিনিয়োগকারীদের উচিত বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানো্। যে সকল সম্মানিত লেবানিজ ব্যবসায়ীদের ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ বা ব্যবসা রয়েছে তাদেরকেই এই কাউন্সিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।ছোট পরিসরে এর যাত্রা শুরু হলেও এই কাউন্সিলের গুরুত্ব ব্যপক এবং ভবিষ্যতে এর কলেবর আরো বাড়বে বলে আশা করি।

নব গঠিত বিজনেস কাউন্সিল দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায় ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া লেবানিজ ব্যবসায়ী ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিনিয়োগকারীদের অনেকে বাংলাদেশের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিনিয়োগ পরিবেশ দেখার জন্য বাংলাদেশে সফরের যাওয়ার কথাও জানান রাষ্ট্রদূতকে ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!