লেবাননে ডলার কারসাজিতে গ্রেপ্তার এক্সচেঞ্জ ডিলার সিন্ডিকেট প্রধান

লেবাননে ডলার কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক্সচেঞ্জ ডিলার সিন্ডিকেট প্রধান মাহমুদ ম্রাদকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েক জন এক্সচেঞ্জ ডিলার ও অবৈধ এক্সচেঞ্জ অপারেটরদের এবং একজন ব্যাংক ম্যানেজারকেও।

আর্থিক প্রসিকিউটর জজ আলী ইব্রাহিম শুক্রবার এ তথ্য জাানিয়েছেন।

ইব্রাহিম ডেইলি স্টারকে বলেছেন, “আমরা এক্সচেঞ্জ ডিলার সিন্ডিকেট প্রধান মাহমুদ ম্রাদ ও একাধিক ব্যবসায়িকে আটক করেছি। ডলারের কারসাজির সাথে তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করার জন্য। কারণ মাহমুদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ডলারের বিনিময় হার লেবাননের পাউন্ডের বিপরীতে অযৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসার পিছনে হাত থাকার দৃঢ় প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।”

Travelion – Mobile

তিনি আরও জানান, কর্তৃপক্ষ এক্সচেঞ্জ ডিলার প্রধান ম্রাদের চার সহযোগীকেও আটক করেছে। তাদের সবার মানি এক্সচেঞ্জগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে ডলারের নোট জব্দ করা হয়েছে এবং এক্সচেঞ্জগুলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

“আমরা প্রথমে তথ্য সংগ্রহ করি তারপর আমরা এই তথ্যের উপর কাজ করি। আমরা চাই না নাগরিকরা অসাধু ব্যবসায়ীদের করুণায় থাকুক, ”ইব্রাহিম বলেছিলেন।

আরবি ভাষার সংবাদপত্র আল-আখবারের মতে, দক্ষিণের শহরতলির বৈরুতের জুডিশিয়াল পুলিশ বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত তদন্তের পরে মুরাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তথ্য শাখার অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় যে, এক্সচেঞ্জ ডিলার প্রধান অবৈধ ব্যবসায়ীদের খুব উচ্চ হারে ডলারের নোট কেনার জন্য সহযোগিতা করেছিল এবং তারপরে এগুলি পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রয় করেন ।

পত্রিকাটি আরও যোগ করেছে যে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ডলারের নোট কেনা ও বেচার ক্ষেত্রে ভূমিকার জন্য একজন ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপকের প্রধানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সংবাদ সূত্রে জানা যায়, প্রথম অপারেশনটি তথ্য শাখা পরিচালনা করেছে। তারা একজন ব্যবসায়িকে প্রথমে আটক করে যে কিনা ডলার কিনেছিল লেবানিজ লিরা ৪ হাজার ১৫০ দিয়ে। তারা ৩০ হাজার ডলার বিক্রির প্রস্তাব দিয়ে প্রথমে টোপ ফেলে পরে সেই সন্দেহভাজনকে আটক করে তথ্য শাখার গোপন এজেন্টরা।

আটক ব্যবসায়ী স্বীকার করেছে, সে মাহমুদের পক্ষ থেকে ডলার কিনছিল। তাদের ধারণা ছিল যে ডলার প্রতি মূল্য শীঘ্রই লেবানিজ লিরা ৫ হাজারে পৌছুবে। তথ্য শাখা মাহমুদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করেছে যেগুলোতে তার সাথে অবৈধ লেনদেনকারিদের যোগাযোগের ফোনালাপ উঠে এসেছে।

ইব্রাহিম আরও জানান, অভিযানে আরও বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে তারা।

বিচারক বিষয়টিকে ব্যাখা করতে গিয়ে বলেন, “কয়েক ডজন অবৈধ ও লাইসেন্সবিহীন ব্যবসায়ী এখনো আটক রয়েছে। এ থেকে আমাদের বার্তা একটাই তা হল বাজারকে বিভ্রান্ত করতে ডলার নিয়ে কেউ ফায়দা লুটলে আমরা অলস থাকব না। কঠোর ব্যবস্থা নিব।

অধিকাংশ লাইসেন্সধারী এক্সচেঞ্জ ডিলার এইসব অবৈধ ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে সারা দেশে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের দাবী যে লাইসেন্সধারীরা ডলার নিয়ে কোন ধরনের ফায়দা লুটছে না যদিও এই লাইসেন্সহীন ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার ক্ষতি ডেকে এনেছে।

ইব্রাহিম আশ্বস্ত করেছেন যে এরা সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও অনেক অবৈধ ব্যবসায়ীদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করেছে।

বিচারক বলেন, বিচার বিভাগ বৈধ এক্সচেঞ্জ ডিলারদের ব্যবসা থেকে তাড়াতে চাই এটির কোন ভিত্তি নেই।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!