লিবিয়ায় ধর্ষণবিরোধী অধিকারকর্মী হানান গুলিতে নিহত

লিবিয়ায় ধর্ষণবিরোধী এক অধিকারকর্মীকে গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত নারীর নাম হানান আল-বারাসি (৪৬)। তিনি লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বেনগাজি শহরে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্থানীয় গণমাধ্যম, মানবাধিকার গোষ্ঠী ও নিরাপত্তা সূত্র জানায়, বেনগাজির অন্যতম প্রধান সড়কে প্রকাশ্যে নির্বিচারে গুলি করে হানানকে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। এ সময় তিনি তাঁর গাড়িতে ছিলেন।

হানান লিবিয়ার একজন খ্যাতিমান অধিকারকর্মী ও আইনজীবী। হানানকে হত্যার দায় এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি।

Travelion – Mobile

বেনগাজি শহরে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন হানান। এসব অপরাধে বিদ্রোহী সেনা কমান্ডার জেনারেল খলিফা হাফতারের অনুগত যোদ্ধারা জড়িত বলে অভিযোগ করে আসছিলেন হানান।

বেনগাজি শহরটি নিয়ন্ত্রণ করছে খলিফা হাফতারের অনুগত বাহিনী।

স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তিনটি গাড়িতে থাকা বন্দুকধারী ব্যক্তিরা হানানকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি করে। এতে তিনি নিহত হন।

হানানকে ৩০টি গুলি করা হয়েছে বলে কোনো কোনো গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। তবে নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, মুখোশধারী ব্যক্তিরা প্রথমে হানানকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল। পরে তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।

তবে স্থানীয় একটি গণমাধ্যম এই হত্যার জন্য খলিফা হাফতারের ছেলে সাদ্দামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মিলিশিয়াদের দায়ী করেছে। তবে তারা বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানায়, হানান ও তাঁর মেয়ে হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন। এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।

হানান হত্যার ঘটনায় লিবিয়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই অনলাইনে এই হত্যার বিচার দাবি করেছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!