লিবিয়ার উপকূল থেকে ৯৫ অভিবাসী উদ্ধার, ডুবে গেছে ১৫ জন
লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল থেকে ৯৫ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়েছে। ইউরোপে উন্নত জীবনের প্রত্যাশায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে দুঃসাহসিক সমুদ্র যাত্রার মাঝে নৌকা ডুবির শিকার এইসব অভিবাসীকে সাগর থেকে উদ্ধার করে লিবিয়ার কোস্টগার্ড ।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মুখপাত্র সাফা মেশেলি রবিবার বলেছেন, বহনকারী রাবার নৌকায় কমপক্ষে ১১০ জন অভিবাসী ছিলেন, যারা শুক্রবার লিবিয়ার উপকূলীয় শহর জাভিয়ার যাত্রা শুরু করেছিলেন। আল জাজিরা খবরে বলা হয়, কমপক্ষে ১৫ জন সাগরের পানিতে ডুবে গেছে।
যাঁরা উদ্ধার হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই আফ্রিকান অভিবাসী। উদ্ধার হওয়া অধিবাসীদের অধিকাংশ ক্যামেরুন, সুদান ও মালির নাগরিক। তাঁরা সমুদ্রপথে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাঁরা ব্যর্থ হন।
উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ছয়জন নারী ও দুটি শিশু রয়েছে। গুরুতর অসুস্থ দুজনকে লিবিয়ার রাজধানীর একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের শরীর রোদে পুড়ে গেছে। অনেকের শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত কমে গেছে।
লিবিয়ার কোস্টগার্ডের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টায় থাকা একই অভিবাসী দলের প্রায় ২০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
২০১১ সালে লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতন হয়। তাঁর পতনের পর লিবিয়ায় অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই সুযোগটি নেন মানব পাচারকারীরা। তাঁরা ইউরোপে মানব পাচারের ক্ষেত্রে লিবিয়াকে ব্যবহার করছেন।
আইওএম বলছে, ২০২০ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে বারো শর বেশি অভিবাসী ও আশ্রয়প্রার্থী মারা গেছেন।