লকডাউন অমান্য করায় ফিলিপাইনে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে লকডাউন অমান্যকারীদের গুলি করে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার একদিন বাদেই এ ঘটনা ঘটল। অন্যদিকে নাইজেরিয়ার সরকারি নিয়ম ভেঙে লকডাউনের সময় বাড়ির বাইরে আসায় সেনার গুলিতে এক তরুণের মৃত্যু হয়।
করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ফিলিপাইনে এক মাসের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট দুতার্তে। আইন অমান্য করলে সরাসরি গুলি করে হত্যা করতে দেশটির পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ক্ষ্যাপাটে এই প্রেসিডেন্ট।
নিহত ৬৩ বছরের ওই ব্যক্তি মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরিয়ে ছিলেন। পুলিশ তাকে আটকালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে গালি দিতেই গুলি করে দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের নির্দেশের পর লকডাউন অমান্য করায় ফিলিপাইনে এটাই প্রথম কোনও নাগরিককে গুলি করে হত্যা করার ঘটনা।
পুলিশ দাবি করেছে, আইন অমান্যকারী ওই ব্যক্তিকে মদ্যপ ছিল এবং পুলিশ তাকে আটকালে ধারালো ব্লেড জাতীয় একটা কিছু দিয়ে পুলিশের দিকে তেড়ে আসে। তখন পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হয়।
বুধবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে দুতার্তে বলেছেন, ‘সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি। সরকারের বিধিনিষেধ এখন মানুন। কারণ পরিস্থিতি এখন জটিল।’
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে নাইজেরিয়া সরকার অন্যান্য দেশের মতো লকডাউন চালাচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিয়ম মেনে ঘরে থাকতে হবে। নাইজেরিয়ার ডেলটার ওয়ারি শহরেও লকডাউন চলছিল।
এর মাঝে সরকারি হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে বাড়ি থেকে বের হয় জোসেফ পেসুক। কিন্তু জীবন নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেনি। গুলি করে মেরে ফেলে রেখেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
এই ঘটনার পর শহরটিতে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। রাস্তায় নেমে স্থানীয় যুবকরা বেশ কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিক, শনিবার ওয়ার্ল্ডোমিটার জানিয়েছে, নাইজেরিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন। আর এই মারণ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন দু’শর বেশি। দেশটির বিভিন্ন শহর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আর লকডাউন ভেঙে রস্তায় বের হতেই চলে গুলি।