যুক্তরাজ্যে স্ত্রী-সন্তান হত্যায় বাংলাদেশির যাবজ্জীবন

স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার দায়ে এক বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একটি আদালত। তার নাম মোহাম্মদ আব্দুল শাকুর (৪৬) ।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনের দ্য ওল্ড বেইলি আদালত দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে এই সাজা দেন । যুক্তরাজ্যে যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ সর্বনিম্ন ৪০ বছর।

জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে বিয়ের পর থেকে স্ত্রী জুলি বেগম (২৬), দুই সন্তান তানহা খাতুন (৬) ও আনিকা খাতুনকে (৫) নিয়ে পূর্ব লন্ডনের ইস্ট হামে বসবাস করতেন মোহাম্মদ আব্দুল শাকুর। ২০০ ৬ সালের জানুয়ারিতে ওই বাসার শয়নকক্ষ থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে লন্ডন পুলিশ।

Travelion – Mobile

দীর্ঘ তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয়, আব্দুল শাকুর নিজেই শ্বাসরোধে হত্যা করে তার স্ত্রী ও অবুজ দু’সন্তানকে।

হত্যার পরপরই আব্দুল শাকুর বাংলাদেশে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। পরে ভারতে গিয়ে আত্মগোপন করেন ।

২০১৯ সালের এপ্রিলে কমনওয়েলথের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে সরকার আব্দুল শাকুরকে ভারতে থেকে লন্ডন ফেরাতে সক্ষম হয়। এরপর টানা জেলা ও শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত রায় ঘোষণা করেন।

শাকুর কীভাবে এত নির্মম ও হিংস্রভাবে তার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করতে পারল, সেটা সত্যিই বিস্ময়কর বলে অভিহিত করেছে নিহতদের পরিবার, মামলার তদন্তে সংশ্লিষ্টরা এবং যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি কমিউনিটি।

আদালতে দেওয়া বিবৃতিতে জুলির পরিবার বলেছে, ‘আব্দুল শাকুর আমাদের পরিবারকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা কল্পনাই করতে পারি না, সে কীভাবে স্ত্রী জুলি বেগম ( ও দুই সন্তানসন্তানকে হত্যা করতে পারল। তাদের মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না।’

পূর্ব লল্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ অপরাধ বিভাগের ডিটেকটিভ সার্জেন্ট আমজাদ শরিফ বাংলাদেশি সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৭ সালের পর থেকে এই পর্যন্ত জুলির পরিবারকে অবর্ণনীয় যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে, এই হত্যার বিচার কোনদিনও হবে না। বিশেষ করে তার পালিয়ে যাওয়া ও আটকের আগে এমনটা মনে হয়েছে। অবশেষে সুবিচার নিশ্চিত হওয়ায় আমরা এখন খুশি।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!