যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে অল ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের শোক

দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগ্রুপ যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে দেশের সীমানা ছাড়িয় প্রবাসেও শোকের ছায়া নেমে আসে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।

বহু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী ও মানসম্মত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখা মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম করোনায় আক্রান্ত হয়ে সোমবার রাজধানী ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে (সাবেক অ্যাপোলো) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাংলাদেশে ইন্তেকাল করেন।

প্রখ্যাত এই শিল্পোদ্যোক্তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন অল ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবসহ সমাজের বিশিষ্টজনেরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও অনেকে শোক জানিয়েছেন। তাঁর বর্ণাঢ্য ও কর্মময় জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন অনেকেই।

সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে অল ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ দ্বীপ, সাধারণ সম্পাদক জমির হোসেন যৌথ বিবৃতিতে গভীর দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন আধুনিক চিন্তার সাহসী উদ্যোক্তা এবং দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা নুরুল ইসলাম বাবুল-এর মৃত্যুতে। তারা তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ।

শোকবার্তায় ক্লাব নেতারা বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ছিলেন একজন সফল মানুষ। তিনি যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করে এশিয়ার সবচেয়ে বড় শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক, নির্মাণাধীন মেরিয়টস হোটেলসহ বস্ত্র, ওভেন গার্মেন্টস, রাসায়নিক, চামড়া, মোটরসাইকেল, বেভারেজ টয়লেট্রিজ, আবাসন নির্মাণ এবং ইলেকট্রনিকস সামগ্রীসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা সম্প্রসারিত করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছেন।”

আগের খবর : করোনায় না ফেরার দেশে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বাবুল

“একই সঙ্গে দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের মতো পাঠক/দর্শক নন্দিত গণমাধ্যম পরিচালনা করেছেন। নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, তা সহসা পূরণ হওয়ার নয়। ব্যবসায় সততার অনুশীলন এবং বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ ও সামাজিক কর্তব্য পালনের জন্য নুরুল ইসলাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।তার মৃত্যুতে জাতি একজন সফল শিল্প উদ্যোক্তাকে হারাল”- তারা যোগ করেন।

এ ছাড়াও শোক প্রকাশ করেছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত অল ইউরোপ বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ সংগঠনের সহ-সভাপতি গ্রেট ব্রিটেনের মাহাবুব সুয়েদ, সহ-সভাপতি বেলজিয়ামের ফারুক আহমদ মোল্লা, সহ-সভাপতি রোমের আখি শিমা কায়সার, সহ-সভাপতি ইতালির রিয়াজ হোসেন, সহ-সভাপতি ফ্রান্সের নুরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পর্তুগালের জহুর উল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্পেনের কবির আল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক পর্তুগালের রনি মোহাম্মদ, প্রচার সম্পাদক মো. রাসেল আহম্মেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইতালির আসলামুজ্জামান।

এছাড়া কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও মিলান সমন্বয়ক নাজমুল হোসাইন, জার্মানির ফাতেমা রুমা, ইতালির সাইফুল ইসলাম মুন্সী, জার্মানির হাবিব বাবুল, স্পেনের সাইফুল আমিন, স্লোভেনিয়ার রাকিব হাসান রাফি, গ্রিসের মো. আল আমিন, হাঙ্গেরির জেরিন ফাতেমা, পর্তুগালের যুবরাজ শাহাদাত, পর্তুগালের এনামুল হক, সাইপ্রাসের মাহফুজুল হক চৌধুরী, পোল্যান্ডের আহমেদ রাজ বিন আইয়ুব, পর্তুগালের ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, আনোয়ার এইচ খান, মুরাদ শেখসহ আরও অনেকে।

সোাশ্যাল মিডিয়ায় শোকবার্তায় তারা মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার নয়, পুরো জাতির জন্য বড় ক্ষতি।দেশ ও দশের জন্য তাঁর অবদান মানুষ কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রাখবে।শোকবার্তায় সবাই মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন দেশপ্রিয় নিউজ সম্পাদক ও প্রকাশক সোহেল মজুমদার শিপন, সামাজিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।