মেক্সিকোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলো নিয়ে মেক্সিকোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে চায় বাংলাদেশে।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে মেক্সিকোর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপ মন্ত্রী মারিয়া ডে লা মোরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দেশটিতে সফররত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ আগ্রহের কথা জানান।

বৈঠকে দুই মন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মতো বিষয়গুলো উভয়পক্ষ কীভাবে আরও শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে সে বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেন। তারা দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সম্ভাবনাগুলো খোঁজার পাশাপাশি একে অপরকে আরও বেশি করে জানার ওপর গুরত্বআরোপ করেন।

Travelion – Mobile

শাহরিয়ার আলম মেক্সিকান মন্ত্রীকে বাংলাদেশের উন্মুক্ত ও সুবিধাজনক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের পরিবেশের কথা তুলে ধরেন। তিনি আন্তর্জাতিক শ্রম আইন, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্পে সম্পূর্ণ সম্মতি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।

মেক্সিকোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়ভাবে আরও সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী প্রস্তাব করেন যে, বর্তমানে দুই দেশের বাণিজ্য টার্গেট একশ কোটি ডলার নির্ধারণ করা হলে সেটি ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিতে সহায়ক হবে।

মেক্সিকোর উপমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য হচ্ছে কাছাকাছি আসার উপায়। আমি বাংলাদেশের প্রশংসা করছি। কেননা, সম্পর্ক বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ মেক্সিকোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

মন্ত্রী মারিয়া মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস বা ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের যেকোনো সম্ভাব্য বাণিজ্য সংক্রান্ত সেমিনার বা প্রদর্শনীর জন্য ভেন্যু প্রস্তাব করেন।

দুই মন্ত্রী মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে পারস্পরিক স্বার্থে যোগাযোগ বজায় রাখার বিষয়ে সম্মত হন।

এর আগে মেক্সিকোর উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারম্যান মরিনহো তুসকানোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন দেওয়ায় মেক্সিকোর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন ।

বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। দু’দেশের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক অনুষ্ঠানে জোর দেন শাহরিয়ার আলম।

প্রতিমন্ত্রী মেক্সিকোর উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, ২০১৫ সালের দুই দেশের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন চুক্তি সই হয়েছিল এবং তার অধীনে নিয়মিত বৈঠক করতে চায় ঢাকা।

প্রতিমন্ত্রী কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টের ভিসা ছাড়ের জন্য দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা চুক্তির প্রাথমিক সমাপ্তির ওপর জোর দেন এবং স্প্যানিশ ভাষা শেখাসহ উভয় দেশের কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ একাডেমির মধ্যে অংশগ্রহণের প্রস্তাব দেন। শাহরিয়ার আলম রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন করায় দেশটির প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

জবাবে কারমেন জানান, রাজনৈতিক বৈঠকে দেশটি আগ্রহ রয়েছে। এছাড়া বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।

বৈঠকগুলোতে মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, মেক্সিকোর ২০০ বছর পূর্তিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শাহরিয়ার আলম সেদেশে সফরে রয়েছেন। তিনি সাত সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এটি মেক্সিকোতে বাংলাদেশের কোনো মন্ত্রীর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!