মেক্সিকোতে হলো স্থায়ী শহীদ মিনার

মেক্সিকো সরকার ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় বাংলাদেশ দূতাবাস দেশটির রাজধানী মেক্সিকো সিটির নে পান্তলার সোর হুয়ানা জাদুঘর চত্বরে এই শহীদ মিনার স্থাপন করে।

ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মেক্সিকোতে উদ্বোধন করা হয়েছে স্থায়ী শহীদ মিনার। মেক্সিকোতে এটি প্রথম শহীদ মিনার।

মেক্সিকো সরকার ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় বাংলাদেশ দূতাবাস দেশটির রাজধানী মেক্সিকো সিটির নে পান্তলার সোর হুয়ানা জাদুঘর চত্বরে এই শহীদ মিনার স্থাপন করে।

মেক্সিকোতে স্থায়ী শহীদ মিনার। ছবি: সংগৃহীত
মেক্সিকোতে স্থায়ী শহীদ মিনার। ছবি: সংগৃহীত

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে গড়া এই মিনারে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যসহ কিউআর কোড সম্বলিত একটি ফলকও স্থাপন করা হয়েছে।

Travelion – Mobile

৯ নভেম্বর ফিতা কেটে ও ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনা
শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক দলের পরিবেশনা

যৌথভাবে উদ্বোধন করেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, এডোমেক্সের সংস্কৃতি সচিব নেলি মিনার্ভা ক্যারাস্কো গোডিনেজ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সমন্বয়ক হোসে পাবলো মন্টেমায়োর ক্যামাচো, আমেকামেকা সরকারী অঞ্চলের মহাপরিচালক টোনাটিউ মার্টিনেজ মারিস্কেল, আগ্নেয়গিরি উপত্যকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক সেবা বিভাগের মহাপরিচালক এস্টিবালিজ আগুয়াজো অর্টিজ, টেপেটলিক্সপার মেয়র আবেলার্দো রদ্রিগেজ গার্সিয়া, মেক্সিকো-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেপুটি রোজালিন্ডা ডোমিংগেজ ফ্লোরেস ও সদস্য হোসে মিগেল দে লা ক্রুজ লিমা।

এ সময় মেক্সিকো ও বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

এ উপলক্ষে সোর হুয়ানা জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারির বিয়োগান্তক ঘটনাসহ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও বাঙালি কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে মেক্সিকোর মানুষ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবে এই শহীদ মিনার।’

শহীদ মিনারের জমি বরাদ্দ ও নির্মাণে সহযোগিতার জন্য মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ডেপুটি হোসে মিগেল দে লা ক্রুজ লিমা এবং মেক্সিকোপ্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রাষ্ট্রদূত।

অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে শিশু-কিশোরদের নিয়ে গড়া ‘প্রাইমেরো সুয়েনো’ সাংস্কৃতিক দলের বাংলাদেশের একুশের গানের সঙ্গে মনোরম নৃত্য পরিবেশনা দর্শকদের মুগ্ধ করে।

অনুষ্ঠানে শহীদ দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ওপরে আলোকপাত করে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।

সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!