মিসরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনা

মিসরে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিদেশি বন্ধু ও কূটনীতিকদের সংবর্ধনা ও নৈশভোজের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস।

সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানী কায়রোর হোটেল রামসিস হিলটনের বলরুমে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে মিসরের পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ড. ঘাদা শ্যালাবি প্রধান অতিথি এবং সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান কামেল বিশেষ অতিথি ছিলেন।

আনন্দ ও উৎসবমুখর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মিসরের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক এবং বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতার অংশ নেন।

Travelion – Mobile

মিসরে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান এবং তাদের নিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-এর কেক কাটেন।

মিসরে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখছেন  মিসরের পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ড. ঘাদা শ্যালাবি, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান কামেল এবং  বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম
মিসরে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখছেন মিসরের পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ড. ঘাদা শ্যালাবি, সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান কামেল এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম

মিশরের পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের বক্ততায়, মিশর সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানান এবং ভ্রাতপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সু-সম্পর্ককে নূতন পর্যায়ে উন্নীত করার আশা রাখেন।

রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

মিসরে স্বাধীনতা  দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনায় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাংলাদেশি কমিউনিটি।
মিসরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবর্ধনায় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাংলাদেশি কমিউনিটি।

তিনি জাতির পিতার আদর্শের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে একটি সুখী সমৃদ্ধ উন্নত দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে গড়ার কাজে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ ও মিসরের ঐতিহাসিক এবং বর্তমান সুসম্পর্কের উপর আলোকপাত করে তিনি জানান, বাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার পর মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ গুলোর মাঝে মিসর সর্ব প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।

মিসরে স্বাধীনতা  দিবস উদযাপনের  রাষ্ট্রদূতসহ বাংলাদেশ দূতাবাস  পরিবারের সদস্যরা।
মিসরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের রাষ্ট্রদূতসহ বাংলাদেশ দূতাবাস পরিবারের সদস্যরা।

বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্য এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতিতে উন্নীত করতে বদ্ধপরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও শক্তিশালী নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুতই উচ্চ আয়ের দেশে পরিনত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!