মিশর থেকে উড়োজাহাজ ভাড়ায় বিমানের ক্ষতি ২২০০ কোটি টাকা

সংসদীয় কমিটি

মিশর থেকে ২০১৪ সালে ‘অস্বচ্ছ চুক্তির’ মাধ্যমে ২টি উড়োজাহাজ ভাড়া করায় বিমান বাংলাদেশ এয়াললাইন্সের প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি জানিয়েছে।

একজন সংসদ সদস্য জানান, আওয়ামী লীগের প্রয়াত সংসদ সদস্য আসলামুল হকের নেতৃত্বে সংসদীয় কমিটির একটি উপকমিটির অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রকাশ পায়। অনুসন্ধানে তারা বিমানের তৎকালীন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং এই ভাড়া প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করেন।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে সংসদীয় কমিটি বিমানের সাবেক চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) জামাল উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন এমডি মোসাদ্দিক আহমেদসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে তলব করে।

Travelion – Mobile

সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ উড়োজাহাজ দুটির ভাড়ার বিষয়ে কমিটির সামনে বক্তব্য দেন।

আরও পড়তে পারেন: যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে কার্গো পরিবহন, বিমানকে সংসদীয় কমিটির ভর্ৎসনা

বৈঠক সূত্র জানায়, উপকমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা এবং বিমানের সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনার পর নিয়ে আলোচনার পর কমিটি তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে তার সব নথিপত্র পাঠায়।

ইজিপ্ট এয়ার থেকে ৫ বছরের চুক্তিতে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর উড়োজাহাজ ২টি লিজ নিয়েছিল বিমান। এর একটি বিমানের বহরে যুক্ত হয় ২০১৪ সালের মার্চে এবং অন্যটি একই বছরের মে মাসে।

এক বছরের কম সময় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন।

আরও পড়তে পারেন : উড়োজাহাজে সাপ, অত:পর ….

দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে আবারও ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে ভাড়ায় আনা ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়।

সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়। তবে কোনো সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি। সে কারণে ইজিপ্ট এয়ার এবং মেরামতকারী কোম্পানি- উভয়কেই অর্থ দিতে হয় বিমানকে। সূত্র : দ্য ডেইলি স্টার

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!