মালয়েশিয়ায় ইন্দোনেশিয়ান শ্রমিকের ছুরিকাঘাতে বাংলাদেশি খুন

মালয়েশিয়ায় ইন্দোনেশিয়ান শ্রমিকের ছুরিকাঘাতে এক প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী নিহত হয়েছে।

নিহত বাংলাদেশি মো. সুমন মিয়া (৩১)। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার আদমপুর ইউনিয়নের টুকারকান্দি গ্রামের মোল্লা বাড়ীর জিয়া মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় ৫৩ বছর বয়সী ইন্দোনেশিয়ান নাগরিককে গ্রেপ্তার করে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

Travelion – Mobile

বাংলাদেশ কমিউনিটি নিহতের পরিবার ও , স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যায়,, ২৯ জুলাই স্থানীয় সময় দুপুর ২ টার দিকে সুঙ্গাই পেটানির শ্রী আস্তানায় প্লাইউড নিয়ে তর্কের সময় বাংলাদেশি সুমন লাঠি ইন্দোনেশিয়ান নাগরিককে আঘাতা করে।।এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইন্দোনেশিয়ান সুমনের পেটে ছুরিকাঘাত করে।

অধিক রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। দুইজনেই একটি হাউজিং সাইটে নির্মাণ কোম্পানিতে কাজ করছিলেন।

কুয়ালা মুদা জেলা পুলিশ প্রধান, সহকারী কমিশনার জাইদি চে হাসান স্থানীয় মিডিয়াকে জানান, প্লাইউড নিয়ে বিরোধের জেরে ছুরির আঘাতে পেটে গুরুতর আঘাতের কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তদন্তে জানা গেছে, সুমন প্রথমে ইন্দোনেশিয়ান নাগরিককে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে লোকটি রেগে যায় এবং তাকে ছুরিকাঘাত করে প্রতিশোধ নেয় ।

জাইদি বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ওই দিন রাত ৮ টায় বেডং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ এখনও এই ঘটনায় যে অস্ত্র ব্যবহার করেছিল তা খুঁজছে।
সুমনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুলতান আব্দুল হালিম হাসপাতালে (এইচএসএএইচ) পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত সম্পূর্ণ করতে ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষদর্শীদের সন্ধান করছে পুলিশ।
দেশে থাকা সুমনের মা সাফিয়া (৪০) সাথে ফোনে কথা বলে জানা গেছে, ৪ ভাই বোনের মধ্যে সুমন ২য়। পরিবারে স্বচ্ছলতা ফিরাতে ধার দেনা করে ২০১৪ সালে সুমন নদী পথে পাড়ি জমান মালয়েশিয়ায়।

কান্না জড়িত কন্ঠে সুমনের মা জানান, মালয়েশিয়া যাওয়ারপর সুমনের ১০ বছর কেটে যায় অবৈধভাবেই। এই ১০ বছরে বাবা মাকে একটি টাকাও দিতে পারেনি সুমন। সুদে টাকা এনে তাকে মালয়েশিয়া পাঠানো হয়েছিল। এখনও সুদের টাকা পরিশোধ করতে পারিনি। লোকজন টাকার জন্য তাড়া দেয়।
সুমনের বাবা জিয়া মিয়া ঝালমুড়ি বিক্রি, আর মা বাসায় বাসায় জিয়ের কাজে চলে সংসার।

এদিকে ছেলে হত্যার সুষ্টু বিচার দাবি করেছেন সুমনের মা। সুমনকে এক নজর দেখেতে মা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

সুমনের বোন জামাই নূর নবী জানিয়েছেন, সুমনের লাশ দেশে আনতে ২ আগষ্ট বুধবার যাবতীয় কাগজপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কছে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস থেকে সুমনের কাগজপত্র মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন নূর নবী।

আইনী প্রক্রিয়া শেষে কবে সুমনের মরদেহ দেশে পাঠানো হবে এ বিষয়ে জানতে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!