মালদ্বীপে নানা সমস্যায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা, নিরসনের আশ্বাস হাইকমিশনের
মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য হাইকমিশনের সেবা কার্যক্রম চালু সার্বক্ষণিক রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে সম্ভাব্য সবধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেছেন মালদ্বীপে বাংলাদেশ হাইকমিশনার রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ ।
সােমবার (১৭ মে ) রাজধানীমালেতে হাইকমিশনের হলরুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় বৈঠকে প্রবাসীরা ব্যবসায়ীরা মালদ্বীপ বাংলাদেশের আমাদানির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাসহ নানা সমস্যা নিরসনে হাইকমিমনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপ সরকারের সহযোগিতা চান।
ব্যবসায়ীরা জানান, মালদ্বীপে ব্যাবসা করতে হলে মালদিভিয়ান ব্যক্তির নামের কাগজপত্র রেজিস্ট্রেশন ও ব্যবসায়িক লাইসেন্স করতে হয়। এই জন্য অনেক বাংলাদেশি ব্যবসা করতে পারে না এবং ব্যবসা শুরু করলেও মালদিভিয়ান অনেক লোক এই প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে প্রতারণা করে, ব্যবসা যখন লাভবান দেখে তখন তারা তাদের কাগজপত্রসহ লাইসেন্স বাতিল করে দিয়ে ওই প্রবাসীদেরকে সর্বস্বান্ত করে দেয়।
মালদ্বীপ বাংলাদেশের একটি বৃহত বাণিজ্যের অংশীদার উল্লেখ্য করে ব্যবসায়ীরা বলেন, এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে এখানকার জনগণের ক্রয়ক্ষমতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে, সঙ্গে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতি মালদ্বীপের মানুষের কদর বাড়ছে। এই বাস্তবতা মালদ্বীপের সঙ্গে বাণিজ্য বৈষম্য কমিয়ে আনতে উদ্যোগ নেওয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।
এস এম আবুল কালাম আজাদ ব্যবসায়ীদের সমস্যার কথা ও মতামতগুলো মনোযোগ সহকারে শুনেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ-মালদ্বীপের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। দু-দেশের অসাধারণ কূটনৈতিক দক্ষতার ফলশ্রুতিতে দিগন্তের উম্মেষের কারনেই মালদ্বীপে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, পণ্য পরিবহনে উভয় দেশের মধ্যে সরাসরি শিপিং লাইন চালু, আকাশপথে পণ্য পরিবহনে পরিবহন ব্যয় হ্রাস করণসহ দেশটিতে অবৈধদের বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়ার বিষয়ে মালদ্বীপ সরকারের সাথে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তিনি ব্যবসায়ীদের সুসংগঠিত থেকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য একযোগে কাজ করার এবং বৈধ পথে আরও বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহ দেওয়ারও আহ্বান জানান।
সভায় মালদ্বীপপ্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী গ্লোবাল রিচ এর চেয়ারম্যান সোহেল রানা সিআইপি, শিক্ষা উদ্যোক্তা ও মিয়াঞ্জ ইন্টারন্যাশনালেরর কর্ণধার আহমেদ মোত্তাকি, ভিউ কন্সট্রাকশনের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন, ঢাকা ট্রেডার্সের চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন, ফোর এল ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান হাদিউল ইসলাম, ফুড এন্ড ফুডের চেয়ারম্যান নুরে আলম রিন্টু, পি’টি মার্টের পরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম, ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও মিশনের প্রথম সচিব (শ্রম.) মো. সোহেল পারভেজ, তৃতীয় সচিব মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
