মাদক রাখার অভিযোগে বাংলাদেশি কূটনীতিক আনারকলিকে প্রত্যাহার

মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ডেপুটি চিফ অব মিশন কাজী আনারকলিকে প্রত্যাহার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

ইন্দোনেশিয়ার গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, নিষিদ্ধ মাদক মারিজুয়ানা পাওয়ার অভিযোগে গত ৫ জুন কাজী আনারকলির অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালায় ইন্দোনেশিয়ার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। মাদকের অভিযোগে আটক করা হলেও ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কূটনৈতিক দায়মুক্তির কারণে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Travelion – Mobile

তাকে আটকের পর ইন্দোনেশিয়া সরকারের অনুরোধে দেশে ফেরত আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তার বাসায় আরেকজন বিদেশি নাগরিক ছিল বলেও জানা যায়।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ায় থাকাকালীন মাদক সংশ্লিষ্ট একটি অভিযোগ পাওয়ার পর কাজী আনারকলিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে তাকে ইতোমধ্যেই ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’

তদন্তে অপরাধের প্রমাণ পেলে এই কূটনীতিকের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জন্য বিব্রতকর। একজন পররাষ্ট্র ক্যাডারের যে হাই স্ট্যান্ডার্ড, এটার সঙ্গে আমরা কমপ্রোমাইজ করবো না। আমরা এটা তদন্ত করছি। তদন্তে যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন, তবে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কূটনৈতিক দায়মুক্তি থাকলেও আনারকলির বাসায় অভিযান চালানোর বিষয়ে এক প্রশ্নে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমার প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, এখানে কোনো ভুল নাই। এবং সেই বাসায় আরেকজন বিদেশি নাগরিক ছিল বলে আমরা ‍শুনেছি। সেক্ষেত্রে পুলিশ যেতে পারে।’

কূটনৈতিক দায়িত্ব থেকে আনারকলিকে ফেরত আনার ঘটনায় এবারই প্রথম নয়। এর আগে বাসার গৃহকর্মী নিখোঁজের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস থেকে তাকে ফেরত আনা হয়েছিল। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের ওই রাজ্যে বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেল ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!