ব্রুনাইয়ে উৎসবমূখর পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন
ব্রুনাই দারুসসালামে গভীর শ্রদ্ধা আর উৎসবমূখর পরিবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ হাইকমশিন।
বুধবার সকালে রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ানে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন ব্রুনাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাহিদা রহমান সুমনা। এরপর তিনি কর্মকর্তাদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
দিবসের আলোচনা পর্বের শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবনের উপর বিশেষ প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনার সভাপতিত্বে হাই কমিশনার প্রবাসী বাংলাদেশিদের বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ ও স্বপ্নের চেতনায় তাদের সন্তান লালন-পালনের আহ্বান জানান, যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং তাঁর দেশবাসীর সম্মানজনক জীবনের জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছিলেন।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা স্মার্ট কিডের সহযোগিতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে ব্রুনাই দারুসালামে রাশিয়া, ওমান ও ইরানের রাষ্ট্রদূতরা সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দিনব্যাপী কর্মসূচিতে দূতালয় প্রধান জিলাল হোসেন, কাউন্সেলর মাঈনুল হাসানসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবং ব্রুনাইয়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা ও ব্রুনাই প্রবাসী বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাঙালিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে মিশন চত্বরে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় “বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুর হৃদয় হোক রঙিন” শীর্ষক শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন হাইকমিশনার।
শিশুদের সুন্দর শিল্পের প্রশংসা করে হাইকমিশনার তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত সহানুভূতিশীল, সাহসী ও মহান নেতা ছিলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মার প্রতি অকৃত্রিম শ্রদ্ধা জানাতে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে অবশ্যই আমাদের মহাজাতিত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের অদম্য চেতনার মধ্যে গভীরভাবে মগ্ন হতে হবে।
সবশেষে হাইকমিশনারের সঙ্গে অংশগ্রহণকারী শিশুরা বিশাল কেক কেটে জন্মদিনের উত্সবকে রঙিন ও আনন্দমূখর করে তোলে।