বিমানের ১৭ সিবিএ নেতার দুর্নীতি, হাইকোর্টে নথি তলব
সাত বছর আগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সিবিএ নেতা ছিলেন এমন ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত সংক্রান্ত যাবতীয় নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই নথি আদালতে দাখিল করতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত আগামী ৯ মার্চ পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
ওই ১৭ সিবিএ নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে দুদকের প্রতিবেদন দেখে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
১৭ জন হলেন- বিমানের তখনকার সিবিএ সভাপতি মো. মসিকুর রহমান, সহ-সভাপতি আজাহারুল ইমাম মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, মো. ইউনুস খান, সাধারণ সম্পাদক মো. মনতাসার রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রফিকুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম, অর্থ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান, অফিস সম্পাদক মো. হারুনর রশিদ, প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল বারি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. ফিরোজুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহান, নারীবিষয়ক সম্পাদক আসমা খানম, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক গোলাম কায়সার আহমেদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আবদুল জব্বার ও মো. আবদুল আজিজ।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, নির্দেশ অনুযায়ী দুদক আদালতে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে সিবিএ নেতারা দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সে অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে কোনো তথ্য প্রতিবেদনে নেই। সে কারণে সংশ্লিষ্ট তদন্তের নথি আদালতে দাখিলের আরজি জানালে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ১৭ সিবিএ নেতার বক্তব্য ও কমিশনের সিদ্ধান্তসহ পূর্ণাঙ্গ নথি দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিমানের ওই ১৭ সিবিএ নেতার বিষয়ে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে বা আদৌ কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিল কি না, তা গত ২৮ জানুয়ারি জানতে চান হাইকোর্ট।
নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুদক প্রতিবেদন দিলে তার ওপর শুনানি করে আদালত নথি তলব করেন।
দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে ২০১৪ সালে এই ১৭ সিবিএ নেতাকে নোটিশ দিয়েছিল দুদক। কিন্তু দুদকের তলবে হাজির না হয়ে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। নোটিশ পাওয়া নেতারা বলেছিলেন, তারা দুদকের যে কোনো পদক্ষেপ আইনগতভাবে মোকাবিলা করবেন। সেইসব সংবাদ প্রতিবেদন যুক্ত করে ওই বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিমকোর্টে রিট আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালত রুল জারি করেন।