বিজিবিতে প্রথম যুক্ত হচ্ছে দুটি হেলিকপ্টার

নতুন বছরে বড় সুখবরটা আসছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ঘরে। বাংলাদেশ সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী এই আধা সামরিক বাহিনী প্রায় সাড়ে ৩’শ কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার পাচ্ছে বছর শুরুতেই। এই প্রথম বিজিবির যাত্রা হচ্ছে আকাশ মিশনে।

বিজিবি সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ১৭ জানুয়ারি রাশিয়ার কোম্পানি ‘জেএসসি রাশিয়া হেলিকপ্টারস’ থেকে সরকারি (জি-টু-জি) পর্যায়ে কেনা এ দু’টি হেলিকপ্টার বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে ।

পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলসহ দেশের দুর্গম অঞ্চলে জরুরি ভিত্তিতে সৈন্য মোতায়েন, পণ্য পরিবহন, জরুরি উদ্ধার অভিযান, মুমূর্ষু রোগী যাতায়াত, রেশন দ্রব্য ও লজিস্টিক সহায়তা পৌঁছানো এবং নজরদারি বাড়ানোসহ অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়াতে সরকারের সময়োপযোগী উদ্যােগ বিজিবির নবগঠিত এয়ার উইংয়ে যুক্ত হচ্ছে এ দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার।

গত ১৮ ডিসেম্বর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, বিজিবির জন্য কেনা হয়েছে আধুনিক, যুগোপযোগী ও কার্যকর ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, নতুন বছরের জানুয়ারিতে দু’টি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার বিজিবিতে যুক্ত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, হেলিকপ্টার দু’টি চালানোর কারিগরি সহযোগিতাও দেবে জেএসসি রাশিয়া। ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতির হেলিকপ্টার দু’টির প্রতিটির ওজন প্রায় ১৩ হাজার কেজি।

দুর্ঘটনায় পড়ার হার কম হওয়ায় দুর্গম পার্বত্য এলাকায় পর্যবেক্ষণ ও নজরদারি বাড়াতে এমআই ১৭১ই সিরিজের দুই হেলিকপ্টার বিজিবির আধুনিক পথচলাকে নিশ্চিত করবে। এ দুই হেলিকপ্টারের প্রতিটিতে একজন স্টুয়ার্ডসহ ২৬ জন সৈন্য পরিবহন ও পণ্য পরিবহনের সুবিধা রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি)কে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর নানা উদ্যোগ গ্রহণও বাস্তবায়ন করছে বলে বিজিবি সদর দপ্তর জানিয়েছে। সীমান্তরক্ষী এ বাহিনীটির আধুনিকায়নেও সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করে। আধা সামরিক এ বাহিনীটিকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকার অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি কিনে দিচ্ছে।

এ উদ্যোগের অংশ হিসেবেই ২০১৮ সালের ১০ মে বিজিবির জন্য রাশিয়া থেকে দু’টি হেলিকপ্টার কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার। সেইদিন অর্থনৈতিক বিষয়–সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

সেই বছরের ডিসেম্বরে হেলিকপ্টার দু’টি কেনার জন্য রাশিয়ান কোম্পানি ‘জেএসসি রাশিয়া হেলিকপ্টারস’ এবং বিজিবির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এর বাইরে ১২টি আর্মাড পার্সোনেল ক্যারিয়ার (এপিসি) এবং ১০টি রায়ট কন্ট্রোল ভেহিক্যালও কেনা হচ্ছে। সীমান্তের স্পর্শকাতর আইসিপি/এলসিপি সমূহে ভেহিক্যাল এক্স-রে স্ক্যানার মেশিন স্থাপন এবং ‘বিজিবি ডগ স্কোয়াড’ গঠন করা হয়েছে।