বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন

বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। করোনার প্রাদূর্ভাব প্রতিরোধের সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী স্বল্প পরিসরে আয়োজন করা হয় দিবসের কর্মসূচি।

২১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানী মানামায় বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনর্মিতকরণের মধ্য দিয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন বাহরাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. নজরুল ইসলাম। এ সময় বাহরাইনে বাংলাদেশের কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিতি ছিলেন।

এরপর দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ভাষা দিবসের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।

Travelion – Mobile

অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী সমূহ সবাইকে পড়ে শুনান দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মো. রবিউল ইসলাম ও লেবার কাউন্সেলর (শ্রম সচিব) শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।

রাষ্ট্রদূত ড. মো. নজরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, “১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাবেই গঠিত হয়েছিল রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। এই পরিষদই ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করে। জাতির পিতা ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে বার বার গ্রেফতার হন। সেই দুর্বার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি শাসকগােষ্ঠীর জারি করা ১৪৪ ধারা ভাঙতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন ভাষা শহীদরা। বঙ্গবন্ধুর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।”

তিনি বলেন, ২১ বছর আগে ইউনেস্কো কর্তৃক মহান শহীদ দিবসকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতির মাধ্যমে একুশের চেতনা বিশ্বব্যাপী মানুষের হৃদয়ে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে যার মাধ্যমে আমরা ভাষাগত বৈচিত্র্য, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের প্রতিও শ্রদ্ধা জানাতে সক্ষম হয়েছি।

বাহরাইনে বাংলাদেশ সোসাইটি, বাংলাদেশ সমাজ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, ব্যবসায়ী সংগঠনসহ কমিউনিটির সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

সবশেষে ভাষা শহীদসহ দেশের জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের সবার আত্মার শান্তি ও দেশ জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ দোয়া করা। পরিচালনা করেন দূতাবাসের অনুবাদক মো. আশরাফুর রহমান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!