বাড়তি ব্যাগেজের খরচ বাঁচাতে বিমানযাত্রীর অভিনব পন্থা!
ব্যাগেজের বাড়তি খরচ দিতে নারাজ এই যাত্রী। তাই বুদ্ধি করে, আড়াই কেজির ওজনের জামাকাপড় পরে বিমানবন্দরে হাজির হন ঔ ‘বুদ্ধিমান’ যাত্রী। তিনি হলেন ফিলিপাইনসের গেইল রডরিগোজ।
ব্যাগেজ যত বেশি! ভাড়াও বাড়বে তত বেশি। নিজের সঙ্গে থাকা কোনো জিনিসপত্র হাতছাড়া করতে রাজি নন এ তরুণী। উড়োজাহাজে ওঠার সময় আবার অতিরিক্ত জিনিসপত্রের জন্য ব্যাগেজ ফিও দিতে রাজি নন তিনি।
তাই তাই অতিরিক্ত ফি দেওয়ার হাত থেকে বাঁচতে অভিনব আঁটলেন গেইল । জামার উপরে জামা, তার উপরে জামা, তার উপরে জামা আর প্যান্টের ওপর পরে নিয়েছেন বেশ কয়েকটি ট্রাউজারও। সব মিলিয়ে পোশাকগুলোর ওজন ছিল আড়াই কেজি!
এমন ঘটনা ঘটেছে ফিলিপাইনের একটি বিমানবন্দরে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ৯ কেজির একটি হাতব্যাগ নিয়ে উড়োজাহাজে ওঠার সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মুখোমুখি হন রদ্রিগেজ।
তার বিমানটির কেবিনে বহনযোগ্য হাতব্যাগ বা লাগেজের সর্বোচ্চ ওজন ৭ কেজি। এর বেশি হলে অপ্রয়োজনীয় মালামাল ফেলে দিয়ে কমিয়ে ফেলা কিংবা ওজন কমিয়ে ফেলা নির্ধারিত বাড়তি ফি দিয়ে নেয়ার নিয়ম।
বিমানবন্দরে বোডিংয়ের সময় অতিরিক্ত দুই কেজি পণ্য বহনের জন্য ফি পরিশোধ করতে বলা হলে রদ্রিগেজ অভিনব ঔ কৌশলের আশ্রয় নেন। ব্যাগ খুলে পরতে শুরু করেন একের পর শার্ট ও টি-শার্ট। হাতে প্যান্ট উঠে আসলে কিছু না ভেবে তাও পরে ফেলেন তিনি।
প্রায় আড়াই কেজি ওজন কমানোর পর ব্যাগ মাপতে বলেন কর্মকর্তাকে। ওজন সাড়ে ছয় কেজিতে নামার পর তাকে আর অতিরিক্ত ফি পরিশোধ করতে হয়নি।
এ ঘটনায় অনেকেই অবাক হয়ে রদ্রিগেজের ছবি তোলেন এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে শেয়ার করেন। ঘণ্টা না পেরোতেই কয়েক হাজারবার শেয়ার হয় ছবিটি। অনেকে তাকে কমেন্ট করে উৎসাহও দিতে থাকেন।
এ বিষয়ে রদ্রিগেজ মজা করে জানান, আগে যদি জানতেন তার ছবি ভাইরাল হবে তবে আরেকটু পোজ দিতে পারতেন। ভবিষ্যতে এমন কোনো কাজ করার ইচ্ছা নেই। গরমের মধ্যে এতগুলো পোশাক পরে তিনি নিজেই বিপদে পড়েছিলেন। তার পোস্টে মন্তব্যকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আইন মেনেই পণ্য বহন করা উচিত।
কিছুদিন আগেও এমন অভিনব কাণ্ড করেছিল যুক্তরাজ্যের ইজিজেট এয়ারলাইন্সের এক যাত্রী। এগ্লাসগোতে জন ইরভাইন নামের ঔ বিমানে ওঠার আগে ব্যাগেজের জন্য বাড়তি চার্জ না গুনতে ১৫টি পোশাক একসঙ্গে পরে ফেলেছিলেন তিনি।
লন্ডনভিত্তিক স্বল্প খরচের (লাে-কস্ট) বিমানসংস্থা ইজিজেটে করে ফ্যান্সের নিস শহর থেকে স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গ আসছিলেন তিনি। নিস বিমানবন্দরে জন ও তাঁর পরিবার পৌঁছনোর পর বোডিং করার সময় ইজিজেটের কর্মিরা জানায় হয় তাঁদের লাগেজ আট কেজির বেশি ওজনের। এ জন্য তাঁদের বাড়তি ভাড়া দিতে বলা হয়। কিন্তু সেই টাকা বাঁচাতে ব্যাগ খুলে একের পর এক পোশাক পরে ফেলতে শুরু করেন জন।
ডেইলি মেলের খবর অনুযায়ী, ৯৬ পাউন্ড অতিরিক্ত ওজনের লাগেজের মূল্য এড়াতে ৮ কিলোগ্রামে ওজনের পোশাকই নিজের গায়ে চাপিয়ে নেন জন আরভিন। নিজের এই কীর্তির জন্য ভাইরাল স্কটল্যান্ডের ৪৬ বছরের ওই ব্যক্তি। নিস বিমানবন্দরে বাবার গায়ে পোশাকের সম্ভারের সেই ভিডিও ফ্রেমবন্দি করেন তাঁর ছেলে জোস। ভিডিওটি শেয়ার করা হয়েছে ট্যুইটারে এবং প্রায় ৭ লক্ষ দর্শক হয়েছে ভিডিওটির।
গায়ে ১৫টি পোশাক দেখে বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীদের সন্দেহ হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে। তিনি বলেন, “কয়েকটি পোশাক খুলে ফেলতে বলা হয় তাঁকে, তিনি কী লুকাতে চেষ্টা করছেন তা জানতে চেয়ে অবাক হন বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা”।
https://www.youtube.com/watch?time_continue=6&v=EaQukd4rBN4&feature=emb_logo