বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সফল মিসাইল উৎক্ষেপণ

বঙ্গোপসাগরে মিসাইল উৎক্ষেপণ পরীক্ষায় সফল হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। দুটি যুদ্ধজাহাজ থেকে সারফেস টু সারফেস মিসাইল (ক্ষেপণাস্ত্র) নিক্ষেপ করে এই পরীক্ষা করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এতে উভয় ক্ষেপণাস্ত্রই নিখুঁতভাবে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মিসাইল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দীর্ঘ ১৮ দিনের ‘এক্সারসাইজ সেফ গার্ড ২০১৯’ শীর্ষক মহড়া শেষ হয়।

মহড়ার সময় প্রথমেবানৌজা দুর্জয় থেকে দূরপাল্লার সারফেস টু সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় । এরপর নিক্ষেপ করা হয় বানৌজা দুর্দান্ত থেকে আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র। দুটি ক্ষেপণাস্ত্রই ১২ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে সফলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয়।

Travelion – Mobile

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি ‘বানৌজা বঙ্গবন্ধু’ থেকে সমাপনী দিবসের মহড়া প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী, কমান্ডার বিএন ফ্লিট রিয়ার অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বানৌজা বঙ্গবন্ধুর অধিনায়ক ক্যাপ্টেন কেইউএম আমানত উল্লাহ ।

পরিকল্পনামন্ত্রী যুদ্ধজাহাজ বানৌজা বঙ্গবন্ধু থেকে মহড়া পরিদর্শন করেন। এর আগে সকালে মন্ত্রী জাহাজে পৌঁছালে কমান্ডার বিএন ফ্লিট রিয়ার অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান ও বানৌজা বঙ্গবন্ধুর অধিনায়ক ক্যাপ্টেন কেইউএম আমানত উল্লাহ তাকে স্বাগত জানান। নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল জাহাজে মন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেয়।

 পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ‘বানৌজা বঙ্গবন্ধু’ থেকে সমাপনী দিবসের মহড়া প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী। ছবি : বাংলাদেশ নৌবাহিনী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ‘বানৌজা বঙ্গবন্ধু’ থেকে সমাপনী দিবসের মহড়া প্রত্যক্ষ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আওরঙ্গজেব চৌধুরী। ছবি : বাংলাদেশ নৌবাহিনী

এ মহড়ার মূল প্রতিপাদ্য- সমুদ্র এলাকায় দেশের সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, সমুদ্র সম্পদের হেফাজত, সমুদ্রপথের নিরাপত্তা বিধানসহ চোরাচালান রোধ, জলদস্যুতা দমন, উপকূলীয় এলাকায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সমুদ্র এলাকার প্রহরা নিশ্চিতকরণ।

মহড়ায় বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর ফ্রিগেট, করভেট, ওপিভি, মাইন সুইপার, পেট্রল ক্রাফট, মিসাইল বোট, মেরিটাইম পেট্রল এয়ার ক্রাফট ও হেলিকপ্টার প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, সেনা ও বিমানবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট মেরিটাইম সংস্থাগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নিয়েছে।

চার ধাপে অনুষ্ঠিত মহড়ার বিশেষ দিকগুলো হচ্ছে- নৌবহরের বিভিন্ন কলাকৌশল অনুশীলন, সমুদ্র এলাকায় পর্যবেক্ষণ, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, লজিস্টিক অপারেশন, ল্যান্ডিং অপারেশন, উপকূলীয় এলাকার নৌ স্থাপনাগুলোর মহড়া ইত্যাদি।

চূড়ান্ত দিনের মহড়ায় ছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে মিসাইল উৎক্ষেপণ, শোল্ডার লাঞ্চড স্যাম ফায়ারিং, অ্যান্টি এয়ার রেপিড ওপেন ফায়ার, আরডিসি ফায়ার, ডিবিএসএস/নৌকমান্ডো মহড়া ও নৌযুদ্ধের কলাকৌশল।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!