বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা আর শেখ হাসিনার প্রশংসায় বান কি মুন

একজন মহান নেতা হিসেবে উল্লেখ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর জানিয়েছেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন। সেই সঙ্গে তিনি
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। সোমবার (১৫ মার্চ) সকালে রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিমত জানান।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ’র চতুর্থ পর্বে কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন বান কি মুন। ‘বঙ্গবন্ধু: দ্য সোল অব বাংলাদেশ’ বিষয়ক লেকচার দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে সেখান থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বান কি মুন।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন প্রধান অতিথি ছিলেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কেয়ান বিশেষ অতিথি ছিলেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামও ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন।

Travelion – Mobile

বান কি মুন বলেন, বঙ্গবন্ধু অনেক বড় নেতা ছিলেন। বাংলাদেশের জনক হিসেবে সমৃদ্ধ দেশ গড়তে তিনি আজীবন কাজ করে গেছেন। মানবাধিকার রক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তার চিন্তাভাবনা ছিল সেই সময়কার তুলনায় অনেক এগিয়ে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সে অনুযায়ী কাজ করছেন।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন বলেন,‘আমার ফাউন্টেনপেন দিয়েই বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তি সই হয়েছিল। আমি তখন দিল্লিতে কোরিয়া দূতাবাসে একজন কর্মকর্তা ছিলাম। এটা আমার জীবনের স্মরণীয় ঘটনা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের জিডিপিতে অভূতপূর্ব অগ্রগতি করেছে। শিক্ষাখাত, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি মোকাবিলা ইত্যাদিতে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।

বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বান কি মুন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আমি কাজ করেছি। আমি তখন দিল্লিতে কোরিয়া দূতাবাসে একজন কর্মকর্তা ছিলাম। আমার ফাউন্টেনপেন দিয়েই বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চুক্তি সই হয়েছিল। এটা আমার জীবনের স্মরণীয় ঘটনা। ’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের সঙ্গে বান কি মুনের সম্পর্ক রয়েছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও অর্থনৈতিক বৈষম্য রোধে সারাজীবন কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতার জনকই ছিলেন না, তিনি ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িকতা, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার পক্ষে ছিলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতোই বান কি মুন সারা বিশ্বে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করেছেন। তারা দু’জনেই বিশ্ব শান্তির পক্ষে ছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।

ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কেয়ান বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বান কি মুন ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলাদেশ ও কোরিয়া সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

পুরো অনুষ্ঠানটি দেখতে ক্লিক করুন :

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!