প্রবাসেও খোলা যাবে এমএফএস অ্যাকাউন্ট

প্রবাসীরাও যাতে বাংলাদেশি মোবাইল এমএফএস (বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ, উপায়, নগদ ইত্যাদি) অ্যাকাউন্ট খুলতে ও পরিচালনা করতে পারেন, সেই সুবিধা শিগগিরই চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

ফলে বিদেশে বসে বাংলাদেশিরা কোনো এজেন্ট ছাড়াই দেশে তৎক্ষণাৎ রেমিটেন্স যেমন পাঠাতে পারবেন, তেমনই দেশে এসেও নিজের সেই অ্যাকাউন্টের অর্থ ব্যবহার করতে পারবেন।

Travelion – Mobile

এমন সব সুবিধার কথা জানিয়ে মঙ্গলবার একটি পরিপত্র জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বর্তমানে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে স্বজনদের কাছে রেমিটেন্সে পাঠাতে বা নিজ ব্যাংক হিসাবে অর্থ জমা করতে পারেন। আর বাংলাদেশে অবস্থানরত স্বজনের বিকাশ, রকেট নম্বরে রেমিটেন্স পাঠাতে চাইলে বিদেশের নির্দিষ্ট এজেন্টের মাধ্যমে তা পাঠাতে হয়। তবে নতুন সুবিধা চালু হলে প্রবাসীরা নিজেরাই ঘরে বসে নিজের দেশের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবেন।

এ সুবিধা দিতে দেশের লাইসেন্স পাওয়া এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডার, পরিশোধ ব্যবস্থা, ব্যাংক, ডিজিটাল ওয়ালেট, কার্ড স্কিম বা সমজাতীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে হবে।

এর অনুমোদন নিতে আগ্রহী এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করতে হবে।

আবেদন যাছাই-বাছাইয়ের পর পরীক্ষামূলকভাবে সেবাটি চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা পরে পূর্ণাঙ্গরূপে চালু হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ই-কেওয়াইসি (অনলাইনে গ্রাহক পরিচিতির তথ্য) মাধ্যমে যে কোনো প্রবাসী এমএফএস হিসাব খুলতে পারবেন। এজন্য বিদেশে যাওয়ার আনুষঙ্গিক তথ্য দিতে হবে।

প্রবাসীরা সংশ্লিষ্ট এমএফএসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়া পেমেন্ট ব্যবস্থা ব্যবহার করে দেশীয় এমএফএস অ্যাকাউন্টে কেবল বিদেশি মুদ্রা জমা করতে পারবেন, যা ব্যবহার করতে পারবেন কেবল টাকায় (স্বয়ংক্রিয়ভাবে রূপান্তর হবে)।

কোনো প্রবাসী দেশে আসার পর হিসাবটি ব্যবহার করতে পারবেন, তখন তা স্থানীয় অ্যাকাউন্ট হিসেবে পরিচালনা করা যাবে। আবার বিদেশে ফেরত গেলে তা প্রবাসী অ্যাকাউন্টে রূপান্তর হবে, সেজন্য প্রয়োজনীয় নথি উপস্থাপন করতে হবে।

২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরের বছরের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালুর মধ্য দিয়ে দেশে এমএফএস সেবা শুরু হয়।

এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সেবাটি এখন ‘রকেট’ নামে পরিচিত। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। এমএফএস সেবার বড় অংশই এ প্রতিষ্ঠানের দখলে।

ব্যাংকভিত্তিক মডেলে যাত্রা শুরু করা এ খাতে বর্তমানে ১৩টি এমএফএস প্রতিষ্ঠান সেবা দিচ্ছে। সবগুলো এমএফএস মিলিয়ে গ্রাহক সংখ্যা ১১ কোটির বেশি। এজেন্ট সংখ্যা ১১ লাখের বেশি। গড়ে দৈনিক এক কোটির বারের বেশি লেনদেন হয় এমএফএসে, টাকার অংকে যার পরিমাণ ২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!