প্রবাসী সাংবাদিক আব্দুল হাই’র পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

ডয়েচে ভেলের সাবেক সাংবাদিক, ইউরোপীয়-বাংলাদেশি উন্নয়ন সংস্থা বাসুগ জার্মানির প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম আব্দুল হাই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ডিগ্রি দেওয়া হয়।

আবদুল হাইয়ের পিএইচডি গবেষণার বিষয় ছিল ‘মিয়ানমারে সাংবাদিকতা শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম উন্নয়ন সংস্থাগুলোর প্রভাব’।গবেষণা তত্ত্বাবধান করেন বন বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণপূর্ব এশিয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ক্রিস্টোফ আন্টভাইলার ও ডয়েচে ভেলে একাডেমির শিক্ষা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ক্রিস্টোফ শ্মিট।

Travelion – Mobile

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

আবদুল হাইয়ের গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) উঠে এসেছে সামরিক শাসন ও আংশিক গণতান্ত্রিক শাসনযন্ত্রের যাঁতাকলে গণমাধ্যমের টেকসই ব্যবস্থাপনা, অর্থায়ন ও ক্ষমতায়ন, গণমাধ্যমকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, পশ্চিমা তথা আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোর ব্যবস্থাপত্রের উপযোগিতা ও যথার্থতা বিষয়।

প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে আবদুল হাই। ছবি : সংগৃহীত
প্রবাসী সাংবাদিকদের সঙ্গে আবদুল হাই। ছবি : সংগৃহীত

এর আগে মিয়ানমারের গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা শিক্ষা বিষয়ে তার প্রথম গবেষণা প্রবন্ধ ২০১৪ সালে ডয়েচে ভেলে একাডেমির মিডিয়া জার্নালে প্রকাশিত হয়।

আব্দুল হাই ১৯৭৮ সালে চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।

আরও পড়তে পারেন :
ইউরোপের বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শুভ্রের সফলতা
জার্মানিতে গবেষণা, ফসলে নাইট্রোজেন নিয়ন্ত্রণের নতুন জিন আবিষ্কার বাংলাদেশির
চীনে ‘এক্সিলেন্ট ক্যাম্পার অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

২০০১ সালে ডেইলি স্টার পত্রিকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে তার সাংবাদিকতা শুরু । এছাড়া ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা নিউ নেশন ও ইন্ডিপেন্ডেন্টের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি হিসেবে ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। টেলিভিশন সাংবাদিকতায় বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে বিটিভি থেকে বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার পান আব্দুল হাই।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ডয়েচে ভেলের বাংলা বিভাগ এবং টেলিভিশন শাখায় কাজ করেন। ২০১৪ সালে জার্মানির বন ইউনিভার্সিটি, হোকশুলে বন-রাইন-জিগ এবং ডয়েচে ভেলে একাডেমির যৌথ মাস্টার্স প্রোগ্রাম অন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া স্টাডিজ সফলভাবে সম্পন্ন করেন।

এছাড়াও তিনি ২০১৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জার্মান উন্নয়ন সংস্থা ওয়ান ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক এ প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষা সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বনের সামাজিক প্রতিষ্ঠান হাউজ অফ ইন্টেগ্রেশনে ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!