ইউরোপের বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শুভ্রের সফলতা

বিশ্বের প্রাচীন ও ইউরোপের বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যাল ইতালির লা সাপিয়েন্সা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ইন কম্পিউটার সায়েন্সে পোস্ট-গ্র‍্যাজুয়েশন করে তাক লাগিয়ে দিলেন বাংলাদেশি যুবক মো. রেজোয়ান হোসেন শুভ্র।

পেশায় একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী শুভ্র প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এ সম্মাননা অর্জন করেছেন।

ইউরোপের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

Travelion – Mobile

ইতালির রোম শহরে অবস্থিত জাতী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লা সাপিয়েন্সা বিশ্ববিদ্যালয় ১৩০৩ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। সিডব্লিউইউআর-এর সেন্টার ফর ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০২২-২০২৩ সালে প্রথম ইতালীয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে লা সাপিয়েন্সাকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

আরও পড়তে পারেন : ইতালিতে শপিং মলে হামলায় ১ জন নিহত,পাবলো মারিও আহত

ইউরোপের বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন।

জানা গেছে, বাংলাদেশে সাড়ে ৩ বছর বুয়েটের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যাক অফিস প্রজেক্ট, লিডস-সফট ও মিডিয়া সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরির পরে স্নাতকত্তোর ডিগ্রী অর্জন করতে ইতালির রোমে আসে।

 লা সাপিয়েন্সার  কম্পিউটার সায়েন্সর পোস্ট-গ্র‍্যাজুয়েশন সন্দ হাতে বাংলাদেশি যুবক মো. রেজোয়ান হোসেন শুভ্র।
লা সাপিয়েন্সার কম্পিউটার সায়েন্সর পোস্ট-গ্র‍্যাজুয়েশন সন্দ হাতে বাংলাদেশি যুবক মো. রেজোয়ান হোসেন শুভ্র।

এর আগে শুভ্র শিক্ষাকালীন সময়ে ইরাস মাস প্লাস (ERASMAS+EXCHANE PROGRAMM) স্কলারশিপ নিয়ে স্কটল্যান্ডের হ্যারিয়ট-ওয়াট ইউনিভার্সিটি থেকে একটি সেমিস্টারের তিনটি কোর্স সম্পন্ন করে এবং ডিপ লার্নিং বেজড পারসন আইডেনটিফিকেশন ইউজিং টুডি আউটার ইয়ার ইমেজেবএর উপর তার গবেষনা সম্পন্ন করেছে।

আরও পড়তে পারেন : গ্রিসের জাতীয় পতাকার পেছনের ইতিহাস

ভবিষ্যতে এই বিষয়ের উপর বিষদ গবেষনা করার আশা প্রকাশ করে সে। এছাড়া শুভ্র ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও মেশিণ লার্নিং
এর উপর পিএইচডি অর্জনের পরিকল্পনা রয়েছে।

এই সফলতা বিষয়ে শুভ্র বলেন, ‘অর্জন তখন সম্ভব যখন নিজে সেটা মনে প্রাণে চাওয়া হয়। এরমধ্যে যত বাধা-বিপত্তির সব সমাধানের রাস্তা নিজেকেই বের করে সামনে এগুতে হবে’।

‘সময়গুলো হয়তো সব সময় সমান যায় না, কিন্তু সেই সময়কে ধরে না রেখে আগামীকালের সূর্যদয়ের দিকে আগ্রহ দেখালে একটা সময় প্রাপ্তি চলেই আসে’, তিনি যোগ করেন।

আরও পড়তে পারেন : উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার থেকে মরদেহ উদ্ধার

শুভ্র আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ গবেষণার দিক থেকে আগানো এখন সময়ের দাবি। আরটিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিং এ ইতালির ইউনিভার্সিটিতে লব্ধ গবেষণাকে বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজে লাগানো সম্ভব’।

‘তাছাড়া এখান থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী দেশে ফিরে গিয়ে তার অর্জিত গবেষণার প্রয়োগ এবং আরো উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের গবেষণাকে বিশ্বমানের করে তোলা সম্ভব। যার ফলে বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ সুবিধা আরেক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে বলে আমার বিশ্বাস’।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!