পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
পর্তুগালে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতার গৌরবোজ্জ্বল সুবর্ণ জয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে পর্তুগিজ সরকার আরোপিত বিধিনিষেধের পরিপ্রেক্ষিতে শুধু দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের উপস্থিতি এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাজধানী লিসবনে দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান।
পরে ডিজিটাল জুম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত “বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী” শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় শুরুতে স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রদত্ত বাণী পড়ে শোনানো হয় এবং প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।
পর্তুগালের পার্লামেন্টের সদস্য এবং পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র ও পর্তুগিজ কমিউনিটি বিষয়ক কমিটির সদস্য পাওলো নেভেস, লিসবনের বাংলাদেশি অধ্যূষিত সান্তা মারিয়া মাইওরের প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল কোয়েলহোসহ পর্তুগালের বিভিন্ন সরকারি এবং রাজনৈতিক, পর্তুগালের বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন করেন।
বক্তারা বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল স্বাধীনতার ৫০ বছর ও জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তীর বিভিন্ন দিক এবং গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তার বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে সকল বীরাঙ্গনাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব এ উন্নয়ন মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ অনুসরণের কারণেই সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের উন্নয়ন বিষয়ক দুটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন এবং একটি রেকর্ডকরা গানও শোনানো হয়।