পর্তুগালে কোথায় কখন ঈদ জামাত হবে
করোনার মহামারি কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবন ফিরতে শুরু করে পর্তুগাল। গত ১ মে থেকে পর্তুগালের জরুরি অবস্থা শিথিলসহ শর্ত সাপেক্ষে সকল প্রকার শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো সহ সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় বাঙালি অধ্যুষিত মাতৃ মনিজের পার্কের মাঠে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতের অনুমোদন দিয়েছে পর্তুগাল সরকার।
বায়তুল মোকাররম ইসলামি সেন্টার এবং মাতৃ মনিজ জামে মসজিদের যৌথ উদ্যোগে বিগত বছরের মতো এবারও বিভিন্ন দেশের হাজারো ধর্মপ্রান মুসলমানের উপস্থিতিতে ঈদের দিন সকাল ৮ টায় মার্তৃমনিজ পার্কে এই জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও লিসবনের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট এবং ৮.৩০ মিনিটে ২টি ঈদ জামাত, রিবোইলার জামে মসজিদ, এবং ওডিভিলাসে সকাল ৮ টায়, দমাইয়া খেলার মাঠে সকাল ৭টা ও ৮.৩০ মিনিটে ২ টি, কাসকাইসের স্থানীয় স্টেডিয়ামে সকাল ৮ টায়, নীল ফন্টেস বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে সকাল ৭.৩০ মিনিটে, পর্যটননগরী আলগ্রাভের ফারোর জামে মসজিদের আয়োজনে স্থানীয় লাইব্রেরির হলরুমে সকাল ৭:৩০ মিনিটে, বন্দরনগরী পোর্তোর বাঙ্গালী অধ্যুষিত সাও বেন্তের হযতর হামজা (রা.) জামে মসজিদে সকাল ৮:০০ এবং ৯:০০ টায় এবং পোর্তোর কেন্দ্রীয় হযরত বেলাল (রা.) জামে মসজিদে ৭:০০ এবং ৮:০০ টায় ২টি করে, মিনদেলোর মার্কেটে অবস্থিত বাংলাদেশিদের জামে মসজিদে সকাল ৯:৩০ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছর করোনা মহামারির চরম পরিস্থিতির কারণে পর্তুগালের কোথাও ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় নি। তাই এবারের ঈদ জামাত আয়োজন ও অংশগ্রহণে সরকারি শর্ত ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি পুরোপুরি অনুসরণের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশি কমিউনিটি সংগঠনগুলো ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইসলামি সেন্টার লিসবনের সভাপতি রানা তসলিম উদ্দিন বলেন, সরকার কিছু শর্ত স্বপক্ষে আমাদের কে এবার নামাজ আদায় করার জন্য অনুমতি দিয়েছে, শর্তগুলো হলো নামাজের আগে পুরো মাঠে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা নিজ দায়িত্বে বাসা থেকে ওজু এবং জায়নামাজ সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে নামাজ আদায় করতে হবে, নামাজ শেষে কোন প্রকার কোলাকুলি কিংবা কুশল বিনিময় করা যাবে না, সেই সাথে নামায শেষে পার্কের মাঠ থেকে সঙ্গে সঙ্গে ত্যাগ করতে হবে কোন প্রকার জমায়েতের সৃষ্টি করা যাবে না।
এই সকল বিষয় তদারকিরর জন্য স্থানীয় পুলিশ মাঠ ও আশেপাশে বিশেষ নজরদারি করবে। তাই যে সকল ধর্ম প্রাণ মুসলিম ভাই পার্কে নামাজ আদায় করতে আসবেন শর্তগুলো মেনে চলার জন্য তিনি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে।