নিরাপদ অভিবাসনে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ-গ্রিস আগ্রহপত্র স্বাক্ষর

নিরাপদ অভিবাসন ও বৈধ পথে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ-গ্রিস একটি আগ্রহপত্রে (ডিক্লারেশন অব ইনটেন্ট) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং গ্রিসের অভিবাসন ও অ্যাসাইলাম বিষয়ক মন্ত্রী নোটিস মিতারাকি এই আগ্রহপত্রে স্বাক্ষর করেন।

গ্রিক মন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক সভায় উভয় মন্ত্রী অনিয়মিত অভিবাসনের বিপক্ষে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। এসময় তারা নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শ্রম অভিবাসনকে জোরদার করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

Travelion – Mobile

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে গ্রিসের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, বৈধ ও নিয়মিত পথে অভিবাসনের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় অবস্থান রয়েছে। বৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে গ্রিসে কর্মী নিয়োগের সুযোগ তৈরি হলে অবৈধ পথে কর্মী আসার প্রবণতা কমবে। এতে দুই দেশই উপকৃত হবে।

গ্রিসে বৈধ পথে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক সভায় দুই দেশের মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস
গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক সভায় দুই দেশের মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা। ছবি: বাংলাদেশ দূতাবাস

গ্রিক অভিবাসন ও অ্যাসাইলাম বিষয়ক মন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে পারস্পরিকভাবে লাভজনক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে এবং এই লক্ষ্যে তার মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমস্যা এবং বৈধ পথে কর্মী আনার বিষয়সহ প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রীর উত্থাপিত বিষয়গুলি নিয়ে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রাখার কথা বলেন।

নিয়মিত শ্রম অভিবাসন জোরদার করতে গ্রিস শিগগিরই বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করবেন বলে গ্রিক মন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন।

দ্বিপাক্ষিক সভায় প্রবাসীকল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, গ্রিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ, দূতাবাসের কর্মকর্তা ও গ্রিক সরকারের অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী গ্রিসের সিটিজেন প্রোটেকশন মন্ত্রী প্যানাগিওটিস থিওডোরিকাকোসের সঙ্গে তার দফতরে অন্য আরেকটি বৈঠকে মিলিত হন। এ সময় দুই মন্ত্রী দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!