ধেয়ে আসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় কিয়ার, সতর্কতা জারি ওমানে

শক্তি বাড়িয়ে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘কিয়ার’। পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরছে সুপার সাইক্লোন। আগামী ৩১ অক্টোবর ওমান উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ভয়াল ঘূর্ণিঝড়। গোনু’র পর কিয়ারই সবথেকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, যা আরব সাগর হয়ে ওমান উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে।

তবে ওমান উপকূলে আছড়ে পড়ার আগে শক্তিক্ষয় হবে ঘূর্ণিঝড় কিয়ারের, এমনটাই জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দফতর। যার ফলে কিয়ারের ভয়ঙ্কর তাণ্ডবের হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পাবে ওই এলাকা।

ওমানের ‘পাবলিক অথরিটি ফর সিভিল এভিয়েশন’ পিএসিএ) এর অনলাইনে প্রকাশিত সবশেষ সতর্কতা বার্তা অনুসারে,“ ঘূর্ণিঝড় কিয়ার আরব সাগরের মাঝখানে পশ্চিম থেকে উত্তর-পশ্চিমে একটানা চলছে এবং এর কেন্দ্র ওমানের উপকূলের নিকটতম স্থান রাস মাদ্রাকা থেকে প্রায় ৫৯৫ কিমি দূরে।”

Travelion – Mobile

ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় কিয়ার ঘনত্বের কারণে ওমানের কৃষি ও মৎস্য মন্ত্রণালয় জেলে ও সমুদ্রযাত্রীদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে ।

মন্ত্রণালয়ের সর্তকতা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,”আরব সাগরে সৃষ্ঠ ঘূর্ণিঝড় কিয়ার প্রভাবে প্রয়োজনীয় পূর্বসতর্কতা অবলম্বন করার জন্য মন্ত্রণালয় সকল জেলে এবং সমুদ্রযাত্রীদের আহ্বান জানিয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং নৌকা, জাহাজ এবং সরঞ্জামের সুরক্ষার জন্য নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।”

কিয়ারের প্রভাবে ভারতের গোয়া, কঙ্কন, কর্নাটকের উপকূলবর্তী এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও গত ২৪ ঘণ্টায় ওই এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ কমেছে। আগামী ১-২ দিনে দেশের মধ্য, পূর্ব ও পশ্চিমাংশে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে,পাশাপাশি কেরালাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষিণ তামিলনাড়ু উপকূল, মালদ্বীপ এলাকায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিমি।

অন্যদিকে, দক্ষিণ-পশ্চিম আরব সাগর ও সংলগ্ন লাক্ষাদ্বীপে নতুন করে নিম্নচাপ তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!