দক্ষিণ সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

বিশ্বের সংঘাতময় এলাকাগুলোতে শান্তিরক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শান্তিসেনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। সেসব এলাকার রাস্তাঘাট মেরামত, চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করছে। প্রতিকূল পরিবেশে দায়িত্ব পালনে সেনা সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও অবদান রাখছে।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস-২০২৩ উদযাপনের লক্ষ্যে দক্ষিণ সুদানের বাহার আল গজল প্রদেশে নিয়োজিত ব্যানব্যাট-৬ কন্টিনজেন্ট ওয়াও শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা সামগ্রী ও ওষুধ হস্তান্তর করা হয়। বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেখানে যে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ দেখা যায়, তাতে পারস্পারিক আস্থার একটি মেলবন্ধন পরিলক্ষিত হয়েছে।

Travelion – Mobile

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাহার আল গজল প্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রী, ডিজি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ব্যানব্যাট-৬ এর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ শাফকাত-উল-ইসলাম, পাবলিক রিলেশন অফিসার লে. কর্নেল মো. রুহুল আমিন, ইন্টেলিজেন্স অফিসার লে. কর্নেল মো. মাকসুদূল আলমসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকরা।

ব্যানব্যাট-৬ এর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ শাফকাত-উল-ইসলাম বলেন, প্রতিমাসে ওয়াও শহর ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশী কন্টিনজেন্ট কর্তৃক ফ্রি চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। এখানে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর অপ্রতুলতার কারণে স্থানীয় জনসাধারণ সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দক্ষিণ সুদানে অবস্থিত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী কর্তৃক আজ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী দেওয়া হলো।

এ প্রসঙ্গে কন্টিনজেন্ট পাবলিক রিলেশন অফিসার লে. কর্নেল রুহুল আমিন বলেন, জাতিসংঘের দেওয়া ম্যান্ডেট বা অর্পিত দায়িত্বের বাইরেও আমরা এখানকার সাধারণ অসহায় মানুষদের সিমিক প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন সেবা দিয়ে যাচ্ছি। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- সুবিধাবঞ্চিতদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ সামগ্রী বিতরণ।

রুহুল আমিন আরও বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। দেশের এ সম্মান ও মর্যাদা ধরে রাখতেই সিভিল মিলিটারি কো-অপারেশন (সিমিক) কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ সুদানে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীরা নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত মানবিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। একদিকে অস্ত্র হাতে নিরাপত্তা টহলে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছেন, অন্যদিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, গবাদিপশুর চিকিৎসা, বিনামূল্যে বই-খাতা ও ষ্টেশনারিজ প্রদান, স্থানীয় কৃষকদের কৃষি উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির বীজ সরবরাহ, ছিন্নমূল মানুষদের জামা-কাপড় সরবরাহ, যুবক ও শিশুদের খেলাধুলা সামগ্রী বিতরণের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের পরম বন্ধুরুপে আবির্ভূত হয়েছেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এসব মানবিক সেবা দেওয়ায় দক্ষিণ সুদানবাসী বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!