দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু

দক্ষিণ কোরিয়াতেও করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। দেশটির সবগুলো প্রদেশে শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম।

শুক্রবার ( ২৬ ফেব্রুয়ারি) সিউলের নওন জেলার ৬১ বছর বয়সী স্বাস্থ্যকর্মী লি গিয়ং চুনকে প্রথম ভ্যাকসিন দেয়ার মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়।

দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, শুরুতে করোনাক্রান্ত রোগী এবং চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশসহ অন্যান্য পেশাজীবীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। প্রথমে ২ লাখ ৭২ হাজার রোগী এবং স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে । মার্চ মাসের মধ্যে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে দেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

Travelion – Mobile

প্রথমেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে শুরু করা হলেও পরবর্তী ধাপে জনসেন ও মর্ডানা এবং বায়োএনটেকের ভ্যাকিসন দেয়া হবে। এই ৪ প্রতিষ্ঠান থেকে নাগরিক ও প্রবাসী মিলিয়ে ৫৯ মিলিয়ন মানুষকে ধারাবাহিকভাবে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

এদিকে নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কোরিয়ায় সামাজিক দুরত্বসহ সকল বিধি নিষেধ আরো দুই সপ্তাহ বর্ধিত করা হয়েছে এবং পাঁচজনের অধিক মিলিত হলে জরিমানা ঘোষণা করা হয়েছে।

এ ছাড়া নাগরিক ও বিদেশীদের দক্ষিণ কোরিয়ায় আগমনকালে কোভিড-১৯ পলিমারেজ চেইন রিয়েকশন (পিসিআর)-এর নেগেটিভ রিপাের্ট জমা দিতে হবে, যা গত বুধবার হতে কার্যকর করা হয়েছে।

কোরিয়া রােগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ সংস্থা (কেডিসিএ) জানায়, জাতিভেদে সকল আগমনকারীকে আবশ্যিকভাবে দক্ষিণ কোরিয়া যাত্রার ৭২ ঘন্টার মধ্যে (পুর্বে) পিসিআর-এর পরীক্ষাপূর্বক নেগেটিভ সনদ নিতে হবে। পিসিআর-এর পরীক্ষার নেগেটিভ সার্টিফিকেট ইংরেজী অথবা কোরিয়ান ভাষায় হতে হবে। অন্য ভাষার ক্ষেত্রে, মূল সনদের সাথে ইংরেজি অনুবাদও জমা দিতে হবে। যে সকল যাত্রীগণ কোরিয়ান বিমান বন্দরে শুধুমাত্র যাত্রা বিরতি করবেন তাদের ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য নয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!