থাইল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
দ্রুত ছড়াচ্ছে চীনের করোনাভাইরাস। সবশেষ দেশ হিসেবে যুক্ত হল যুক্তরাজ্যে ও থাইল্যান্ড। এ দুটি দেশেও পাওয়া গেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী।
থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগ শুক্রবারর (৩১ জানুয়ারি) করোনভাইরাস সংক্রমণের প্রথম ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে। তিনি একজন একজন থাই ট্যাক্সি ড্রাইভার। আরও নিশ্চিত হওয়া গেছে তিনি থাইল্যান্ডের বাইরে কখনও ভ্রমণ করেনি।
রোগ-নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-মহাপরিচালক তানারাক পিপাট জানিয়েছেন,”সংক্রামিত থাই ব্যক্তির চীন ভ্রমণের রেকর্ড নেই এবং সম্ভবত তিনি চীন থেকে আসা একজন অসুস্থ ভ্রমণকারী দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন।”
এদিকে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই প্রদেশে একটি রেসোর্টে একজন চীনা নারী পর্যটকের মৃত্যু হলে পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মিরা সুরক্ষামূলক পোশাক পরে মরদেহটি উদ্ধার করতে যান।
চিয়াং মাই প্রাদেশিক জনস্বাস্থ্য অফিসের ডা. চতুচাই মণিরাত জানিয়েছেন যে, পর্যটকের কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো ভাইরাসের কোনও লক্ষণ পাওয়া যায়নি। মারা যাওয়ার আগের দিন তার জ্বর শুরু হয়েছিল। তার মৃত্যু হয়েছে অতিরক্ত মদ্যপানে।
রির্সোট কর্মীরা জানিয়েছেন ,আগের রাতে ঔ পর্যটক তার রুমে আরও ৪ বন্ধুসহ প্রায় ৫ বোতল হুইকি সাবাড় করেছিলেন। এ সময় তিনি সুস্থ বোধ করছেন বলে জানালেও বন্ধুরা মদপান চালিয়ে যায় এবং সকালে বন্ধুরাই দেখতে পান তিনি মারা গেছেন।
ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা জানিয়েছে, দেশটিতে দুজন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। আক্রান্ত দুই ব্যক্তি একই পরিবারের সদস্য এবং তাদের বিশেষ চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিচয় বা তাদের কোথায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা অধ্যাপক ক্রিস হুইটি বলেছেন, দেশটির ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) খুব ভালোভাবে প্রস্তুত রয়েছে এবং সংক্রমণ ব্যবস্থাপনায় অভিজ্ঞ এবং আরও বিস্তার ঠেকাতে ওই রোগীরা যাদের সংস্পর্শে এসেছে তা দ্রুত শনাক্ত করার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাজ্যে নভেল করোনাভাইরাসের কেসের ব্যাপারে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে আমাদের উন্নত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে এখন পর্যন্ত ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর কেবল চীনেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজারের পৌঁছেছে। এদিকে চীনের বাইরে আরও অন্তত ১৮টি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে।