ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চায় বাংলাদেশ, বোয়িং বিক্রির প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের

বেবিচক চেয়ারম্যান-পিটার হাস বৈঠক

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর কুর্মিটোলায় বেবিচকের প্রধান কার্যালয়ে ওই বৈঠক হয়।

বেবিচক সূত্র জানায়, বৈঠকে বিমানবন্দর ও আকাশপথের নিরাপত্তা ও ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়টি এজেন্ডায় থাকলেও আমেরিকার বোয়িং বিক্রির প্রস্তাবও আসে পিটার হাসের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বেবিচক চেয়ারম্যানের কাছে বিমানের জন্য বোয়িং কোম্পানির ড্রিমলাইনারের নতুন ভার্সন ৭৮৭-১০ বিক্রির প্রস্তাব তুলে ধরেন।

বেবিচক চেয়ারম্যান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ঢাকা-নিউইয়র্ক রুট চালুর বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা চান। বিষয়টি নিয়ে পিটার হাস সযোগিতার আশ্বাস দেন।

Travelion – Mobile

এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান সাংবাদিকদে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। তিনি তার দেশের বোয়িংসহ নানা ব্যবসায়ীক দিক উপস্থাপন করেছেন। পাশাপাশি বিমানবন্দর ও আকাশপথের সেফটি ও সিকিউরিটিসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা ও বেবিচকের ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীত করতে নানা উদ্যোগের বিষয়ে আলোচনা হয়।

তিনি বলেন, বোয়িংয়ের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতকে জানানো হয়েছে, উড়োজাহাজ কেনার বিষয়টি বেবিচকের আওতায় নয়। নতুন উড়োজাহাজ কেনার বিষয়ে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্ভাব্যতা যাচাই করছে।

এর আগে ৫ ডিসেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বৈঠকে বিমানকে বোয়িংয়ের পক্ষ থেকে ড্রিমলাইনারের নতুন মডেলের এয়ারক্রাফট কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এবার বেবিচকের চেয়ারম্যানকেও একই প্রস্তাব দেওয়ার খবর সামনে এলো।

বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) ২০০৯ সালে দ্বিতীয় ক্যাটাগরির নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি (এফএএ)। মূলত ফ্লাইট নিরাপত্তায় দুর্বলতার কারণ দেখিয়ে এটি করে এফএএ। এফএএর ক্যাটাগরি-১ ছাড়পত্র না থাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ঢাকা-নিউইয়র্ক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারছে না। তবে গত কয়েক বছরে এভিয়েশন খাতে উন্নতির পাশাপাশি সেফটি ও সিকিউরিটি ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে।

রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা উড়োজাহাজগুলোর প্রায় সব কয়টিই আমেরিকার কোম্পানি বোয়িং থেকে কেনা। এই বহেরে রয়েছে ড্রিমলাইনারও। তবে চলতি বছর ফ্রান্সের কোম্পানি এয়ার বাস থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার ঘোষণা আসে। এরপর বোয়িংয়ের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে ছুটে এসে তাদের নির্মিত উড়োজাহাজের নানা দিক তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনও করেন।

সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!